সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি পেল ইবির সব বিভাগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সকল বিভাগকে পরীক্ষা নেওয়ার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিভাগ ও অফিসসমূহকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ২৬৫তম সিন্ডিকেট (জরুরী) সভার আলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ পরীক্ষাসহ শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে কয়েকদফায় আন্দোলনও করেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জনসংযোগ দপ্তরের উপ-পরিচালক রাজিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দীর্ঘ ৮৪ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেক বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস শুরু হয়। ক্লাসের পর এবার পরীক্ষা শুরুর উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। বন্ধের কারণে ক্ষতি পুষিয়ে দিতে এবং শিক্ষাবান্ধব ক্যাম্পাস গড়তে নতুন প্রশাসন সক্ষম হবে এ ব্যাপারে তাদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। 

গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারার, প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টাসহ অন্তত ১২ জন প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তি পদত্যাগ করেছেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কার্যত পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালন করেছেন থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ.ব.ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী। তবে পরীক্ষা শুরু করার নির্দেশ না থাকায় তিনি অনুমতি দেননি। নতুন উপাচার্য এসে জরুরি  সিন্ডিকেট করে এ সিদ্ধান্ত নেন।

আরও পড়ুন: ইবির ডি ইউনিটে ১১ আসন ফাঁকা, ভর্তির সময় প্রকাশ 

এর আগে গত জুন মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শিক্ষক-কর্মকর্তারা সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন এবং জুলাই থেকে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের আন্দোলনের ফলে ইবির সব কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। এরপর ছাত্র আন্দোলনের সময় বন্ধ থাকে ক্যাম্পাস। দীর্ঘ আড়াই মাসের অধিক সময় ধরে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষার বাইরে ছিল শিক্ষার্থীরা।


সর্বশেষ সংবাদ