ইবির তিন দপ্তরে ভাঙচুর
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৩১ PM , আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৪১ PM
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) রেজিস্ট্রার, প্রকৌশল অফিস এবং অর্থ ও হিসাব শাখায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় ৭-৮ জন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে এসে এ ভাঙচুর চালায় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে দপ্তরগুলোতে হামলা হয়। এসময় প্রধানদের রুমের নেমপ্লেটগুলো ভেঙে ফেলা হয় বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ভাঙচুরকারীরা প্রথমে প্রশাসন ভবনে গিয়ে রেজিস্ট্রার এবং অর্থ ও হিসাব শাখায় ভাঙচুর চালায়। পরে প্রকৌশল ভবনে গিয়ে ভাঙচুর করেন তারা। ভাঙচুরকালে প্রধান প্রকৌশলীকে অফিসে না আসতে হুমকি দেয় ভাঙচুরকারীরা। অন্যদিকে বাকি দুই দপ্তরের প্রধানরা এসময় অফিসে ছিলেন না। সরকার পতনের পর থেকে তারা অফিসে আসছেন না বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন : ৪৪ বছরে মেয়াদ পূর্ণ করতে পেরেছেন ইবির মাত্র একজন উপাচার্য
প্রধান প্রকৌশলী শরীফ উদ্দিন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ঘটনার সময় আমি আমার রুমেই ছিলাম। ভাত খাওয়ার জন্য বসেছিলাম। হঠাৎ করে কয়েকজন চেঁচামেচি করে রুমের সামনে এসে নেমপ্লেটটা ভাঙচুর করে। এসময় ভেতরে কেউ আছে কী-না জানতে চায় এবং বলে কালকে থেকে যেন আমি আর অফিসে না আসি। তারা দুইটা মোটরসাইকেলে করে ৫-৬ জন আসে। দুইজন উপরে এসে ভাঙচুর করে, বাকিরা নিচে দাঁড়িয়ে ছিলো।
আরও পড়ুন : বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ শিক্ষককে উপাচার্য হিসেবে চেয়ে ইবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
তিনি আরও বলেন, শুনলাম প্রশাসন ভবনেও ভাঙচুর করা হয়েছে। যারা ভাঙছে তারা একই গ্রুপের মনে হয়। কি জন্য ভেঙেছে তারাই ভালো জানে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করলেও হয়তো ভাঙচুরকারীদের শনাক্ত করা যাবে।
রেজিস্ট্রার অফিসের উপ-রেজিস্ট্রার আনোয়ার হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, মঙ্গলবারকে অফিসে যাইনি। এ বিষয়ে কিছু শুনিনি।
আরও পড়ুন : ফুল টাইম অফিস করতে কর্মকর্তাদের বাস থেকে নামিয়ে দিলেন ইবি শিক্ষার্থীরা
এদিকে ঘটনার বিষয়ে জানতে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান এবং অর্থ ও হিসাব শাখার পরিচালক জাকির হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কল রিসিভ করেননি।
ঘটনার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিভিন্ন জায়গায় ভাংচুর স্পষ্ট দূর্বৃত্তায়ন। কোনো শিক্ষার্থী এসব জঘন্য কাজে সম্পৃক্ত হতে পারে না এবং সমর্থন করে না। আমরা এসব কাজের নিন্দা জানাই। দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।