চিরনিদ্রায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সালমান, শিশুদের আর ইসলামিক গান শেখাবেন না
- নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫৭ PM , আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪, ১০:০৯ PM
ইসলামিক গানের ক্লাস নিয়ে সিএনজি করে বাসায় ফিরেছিলেন, পথিমধ্যে বাসের ধাক্কায় তার মৃত্যু হয়। বলেছিলাম সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী সালমান আজাদীর কথা।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) তার নিজ জেলা বগুড়ায় ৩য় জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়েছে হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহে ১ম জানাজা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ২য় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সালমান বগুড়ার শেরপুর উপজেলার হাপানিয়া এলাকার মৃত কোরবান আলীর ছেলে। স্ত্রী ও এক শিশুপুত্রকে নিয়ে নগরীর মাসকান্দা এলাকায় থাকতেন তিনি।
জানা গেছে, ইসলামী সংগীত শিল্পী হিসেবে ময়মনসিংহে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন সালমান আজাদী। ইসলামী সঙ্গীতের প্রসারে নিজেই প্রতিষ্ঠা করেছেন সঙ্গীত একাডেমি। প্রায় দুই বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানে শিশুদের ইসলামিক গান শেখাতেন। এছাড়াও ত্রিশালে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ইসলামী সঙ্গীতের প্রশিক্ষকও ছিলেন তিনি। নিজের প্রতিষ্ঠা করা সেই প্রতিষ্ঠানে শিশুদের আর গান শেখাবেন না আজাদী।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা শেরপুরগামী সোনার ময়না পরিবহনের একটি বাস ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড থেকে আবারও ঢাকায় ফেরার জন্য ত্রিশালে সব যাত্রী নামিয়ে দেয়। পরে বাসটি পৌর শহরের দরিরামপুর এলাকার সাইফুল কমিশনারের বাসার সামনে দিয়ে ইউটার্ন নেওয়ার সময় ময়মনসিংহ হতে ত্রিশালগামী যাত্রীবাহী একটি অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই রুবাইয়া তাসনিম নামে দুই বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিক্ষার্থী সালমান আজাদী ও শরিফুল ইসলাম (৩৩) নামে আরও দুজনের মৃত্যু হয়।
এদিকে সালমানের অকাল মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং স্বজন-শুভাকাঙ্ক্ষীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এক শোক বার্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর সালমানের বিদেহী আত্মার চিরশান্তির জন্য প্রার্থনাসহ শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।