ইউজিসির ইনোভেশন শোকেসিং শীর্ষক কর্মশালায় চ্যাম্পিয়ন জবি

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ইনোভেশন শোকেসিং শীর্ষক কর্মশালায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের ৫২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে কর্মশালাটি গত ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়।

ইউজিসি আয়োজিত ‘ওয়ার্কশপ অন ইনোভেশন শোকেসিং অব দ্য পাবলিক ইউনিভার্সিটিজ এজ পার্ট অব ইমপ্লিমেন্টেশন অব ই-গভর্ন্যান্স এন্ড ইনোভেশন ওয়ার্ক প্ল্যান ২০২৩-২৪’ কর্মশালায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে জবি। কর্মশালায় অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিনিধিরা তাদের বিভিন্ন উদ্ভাবনীমূলক আইডিয়া উপস্থাপন করে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবনী আইডিয়ার শিরোনাম ছিল ‘স্মার্ট সিটি গড়ে তোলার লক্ষ্যে পয়েন্ট অবসেল (পিওএস) মেশিন ব্যবহার করে আরএফআইডি কার্ড ভিত্তিক গণপরিবহন ব্যবস্থা।’ এই প্রকল্পটি একটি আরএফআইডি কার্ড ভিত্তিক ই-টিকেটিং সিস্টেম। যা ডিজিটাল ওয়ালেট, মোবাইল ব্যাংকিং এবং জিপিএস ট্র্যাকিং ব্যবহার করে গণপরিবহন পরিষেবা প্রদান করে থাকে।

এর লক্ষ্য হলো বাস ভাড়া এবং বিদ্যমান ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকায়ন করে গণপরিবহন ব্যবস্থার সমস্যাগুলো সমাধান করা। এটি জিপিএস অবস্থানের উপর ভিত্তি করে বাস ভাড়া নির্ধারণ করে, যা যাত্রীরা আধুনিকভাবে পরিশোধ করতে পারেন।

এই উদ্ভাবনীমূলক আইডিয়াটি যাচাই-বাছাই শেষে সেরা উদ্ভাবনী আইডিয়া হিসেবে মনোনীত হয়। কর্মশালায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ই-গভর্ন্যান্স এন্ড ইনোভেশন ফোকাল পয়েন্ট ও সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জুলফিকার মাহমুদ। ইনোভেটর হিসেবে ছিলেন সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী মো: মাহাদি হাসান, নিশাত মাহমুদ এবং মো: ওয়ালিউল ইসলাম রায়হান।

কর্মশালায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) যৌথভাবে প্রথম রানারআপ হয়। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় রানারআপ হয়।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জুলফিকার মাহমুদ বলেন, এমন প্রতিযোগিতায় আমরা প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশংসা করেছেন সেখানে উপস্থিত অধিকাংশ। নানাবিধ সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এমন একটি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গৌরবের বিষয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, এই অর্জনে আমি আনন্দিত ও গর্বিত। সংকটের মধ্যেও আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অর্জনে সমৃদ্ধ। কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পরেই ভালো চাকরি পাচ্ছেন,ভালো করছেন। তাদেরকে শিক্ষকরাও ভালো গাইডলাইনে রাখছেন।


সর্বশেষ সংবাদ