হল ছাড়তে গণরুমের শিক্ষার্থীদের নির্দেশ কুবি প্রাধ্যক্ষদের

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

গণরুমের সংস্কৃতি বিলুপ্ত করার ঘোষণা দেওয়ার পর গণরুমে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার প্রাথমিক নির্দেশ দিয়েছেন বিভিন্ন আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষরা। আবাসন নীতিমালা অনুসারে সিট বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি আবাসিক হলের বিপরীতে ছেলেদের ৩টি হলেই গণরুম রয়েছে। সেখানে প্রায় কয়েকশ শিক্ষার্থী গাদাগাদি করে থাকে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের অনেকেই গণরুমে উঠতে শুরু করেছে।

বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক তোফায়েল হোসেন মজুমদার বলেন, উপাচার্য স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমি শিক্ষার্থীদের সাথে বসেছি, এবং তাদেরকে মৌখিকভাবে নিদিষ্ট মেস বা অন্যকোনো ব্যবস্থা করতে বলছি। রবিবারে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অফিসিয়ালি জানিয়ে দেওয়া হবে। আর যাদের স্নাতকোত্তরের ফাইনালি রেজাল্ট হয়ে গেছে তাদের চলতি মাসের মধ্যে হল ছেড়ে দিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

কী অনুযায়ী সিট বরাদ্দ দেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের চারটি বিষয় (মেধা, সিনিয়র-জুনিয়র, দূরত্ব, আর্থিক) বিবেচনা করে দেওয়া হবে। 

এদিকে কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ মিহির লাল ভৌমিকও একই নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। 

তবে নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের প্রাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক জিল্লুর রহমান বলেন, আমার হলে কোন গণরুম নেই, তবে নিচে কয়েকটি রুমে ছয়জনের জায়গায় সাতজন থাকে। যাদের স্নাতকোত্তর রেজাল্ট দিয়ে দিয়েছে তাদের কয়েকজনকে অলরেডি আমি সিট বাতিল করে দিয়েছি। আর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক থেকে যে রেজাল্ট শিট আসবে সে অনুযায়ী তাদের সিট বাতিল করা হবে। সেই স্থানে নতুন শিক্ষার্থীদের আবাসিকতা দেওয়া হবে। 

এর আগে গত মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আমিরুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠিতে গণরুম বন্ধ সহ আবাসিক হলের বিষয়ে ৮টি সিদ্ধান্তের কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


সর্বশেষ সংবাদ