বিয়ের ১৯ দিনের মাথায় স্নিগ্ধা আত্মহত্যা করবে কেন?

বিয়ের ১৯ দিনের মাথায় স্বামীর ভাড়া বাসায় ‘ছাদ থেকে পড়ে’ নওরীন নুসরাত স্নিগ্ধা নামে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত ৮ আগস্ট সন্ধ্যায় ঢাকার আশুলিয়ার পলাশবাড়ীর নামাবাজারের বিজয়নগর সড়কের আব্দুর রহিমের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন তার সহপাঠী ও শিক্ষকরা। তারা বলছেন, বিয়ের ১৯ দিনে কী এমন হলো যে,  স্নিগ্ধা আত্মহত্যা করবে?

আজ শনিবার (১২ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুর‍ালের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয় শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান, বিভাগটির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক সাহিদা আখতার ও বিভাগটির সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীও উপস্থিত ছিলেন। 

মানববন্ধনে স্নিগ্ধার সহপাঠীরা বলছেন, নওরীন নুসরাত এভাবে আত্মহত্যা করতে পারে না, এর পেছনে কোনও রহস্য রয়েছে। যে মেয়েটি আত্মহত্যার বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার ছিলেন। তার দ্বারা এ ধরনের কাজ হওয়া সম্ভব নয়। এর পেছনে যে রহস্য রয়েছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।

তারা অভিযোগ তোলেন, মাত্র ১৯ দিন আগে বিয়ে হওয়া একটি মেয়ের কি এমন হলো যে, তাকে ঘরে আটকে রাখা হলো। বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন করা হলো। এমনকি বাবা-মা তাদের মেয়ের জামাইকে ফোন দিয়ে তার বাসায় মেয়ের কাছে যেতে চাইলে ৬টার পর আসতে বলা হলো। এগুলো কোনও না কোনও রহস্যের অংশ। এইসব রহস্যের উন্মোচন করে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

উল্লেখ্য, ওরীন টাঙ্গাইলের ইসলামবাগ গ্রামের খন্দকার নজরুল ইসলামের মেয়ে। তার স্বামী ইব্রাহিম খলিল চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার কলাকান্দা গ্রামের মৃত জহিরুল আলমের ছেলে। গত ২১ জুলাই পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন তারা। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তার মৃত্যু আত্মহত্যা বলে দাবি করেছে পুলিশ ও পরিবার। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ল' অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।

The Daily Campus এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন