শেকৃবিতে দিনব্যাপি নগর কৃষিমেলা-২০২২ অনুষ্ঠিত
- শেকৃবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:৩৯ PM , আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:৩৯ PM
পরিবর্তিত বিপর্যস্ত জলবায়ুর করাল গ্রাস থেকে বাংলাদেশের নগরগুলোকে রক্ষা করতে হবে। পরিবেশ ও প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় এবং নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তায় নগররের প্রতিটি ইঞ্চি ভূমিকে কৃষির আওতায় আনতে হবে আহবান করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এই আহবানকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শেকৃবিতে অনুষ্ঠিত হয় দিন ব্যাপী শুরু হয় নগর কৃষি মেলা-২০২২। এ মেলার প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল,‘নিরাপদ খাদ্য নগরীয় প্রতিবেশ, সকলে মিলে আগামীর বাংলাদেশ।’
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) নগর কৃষি মেলা আয়োজক পর্ষদ এ মেলার আয়োজন করছে। মেলায় ৮টি শেয়ারিং গ্রুপ, ৭টি বাই-সেল গ্রুপ, ৫টি নার্সারি, বেশ কিছু উদ্যোক্তা, শেকৃবির কৃষি ক্লাব, ই-কৃষি ক্লিনিকসহ প্রায় ৪০টি বিভিন্ন গ্রুপের সমাগম হয়। আগত দর্শনার্থীরা বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন। অনেকেই পছন্দের গাছের চারা বা ছাদ বাগানের বিভিন্ন উপকরণ কিনে নিয়ে যান।
মেলায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বন,পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী হাবিবুন নাহার উপস্থিত ছিলেন । অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহিদুর রশিদ ভূইঁয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরী, সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বন্ধে ৫ ঘন্টায় হাঁটল ১৮ কিলোমিটার
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-মন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, বর্তমানে কৃষিজমি নষ্ট করে ভবন, মার্কেট করা হচ্ছে। শহরে মাটি খুঁজে পাওয়া কষ্টকর। দূষিত ঢাকাকে কিছুটা দূষণমুক্ত ও বাসযোগ্য ঢাকা তৈরিতে নগর কৃষির বিকল্প নেই। মাটি ছাড়াও কৃত্রিমভাবে টবে বা ছাদে মাটি সংগ্রহ করে ছাদবাগান করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। সকলের মানসিকতা পরিবর্তন হয়েছে। নার্সারিগুলোর সেবা ও সহযোগিতাকে সাধুবাদ জানাই। সবুজায়নের বিপ্লব চালিয়ে যেতে হবে। বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের কষাঘাতে জর্জরিত। জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি থেকে দেশকে বাঁচাতে বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে। ছাদ খামারীদের ১০% কম ট্যাক্স নেওয়া উচিত।
নার্সারির খামারিরা বলেন, আমাদের নার্সারিগুলো শহরের আনাচে কানাচে করতে হয়। সবার দোরগোড়ায় ছাদবাগানের উপকরণ ও সেবা আমরা পৌঁছে দিতে চাই। কিন্তু নার্সারির জন্য নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় আমরা সেভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারিনা। আমরা সরকারের কাছে শহরের কোনো একটা নির্দিষ্ট জায়গার দাবি জানাই যেখানে সকল নার্সারিসহ নগর কৃষির জন্য প্রয়োজনীয় সেবা থাকবে।
মেলায় নগর কৃষিতে ভূমিকা রাখার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।