৪৬ ও ৪৭তম বিসিএস নিয়ে উভয় সংকটে পরীক্ষার্থীরা
- মারুফ হোসেন মিশন
- প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৪:১১ PM , আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৪:১১ PM

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস)-এর ৪৬তম লিখিত পরীক্ষা ও ৪৭তম প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নিয়ে উভয় সংকটে পড়েছে পরীক্ষার্থীরা। ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রায় ১ বছর হতে চললেও এখনো লিখিত পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করতে পারেনি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি)। আবার ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারি টেস্ট কবে অনুষ্ঠিত হবে সেই সময়ও নির্ধারণ হয়নি এখনো। আবার পরীক্ষা দুটি কাছাকাছি সময়ে অনুষ্ঠিত হওয়ারও শঙ্কায় রয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তারা।
পরীক্ষার্থীরা বলছেন, ৪৬তম লিখিত পরীক্ষা ও ৪৭তম প্রিলিমিনারি পরীক্ষা কবে হবে তা তারা এখনো জানেন না। কিন্তু ফেসবুকে চাকুরি প্রস্তুতিসংক্রান্ত বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপগুলোতে পরীক্ষা দুটির বিষয়ে বিভিন্ন তারিখ জানা যাচ্ছে। যার ফলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরীক্ষা দুটির বিষয়ে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরছেন তারা।
তারা দাবি করছেন, পিএসসি তাদের ইচ্ছে মতো আচমকা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। অনন্ত দুই মাস আগে প্রতিটি পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করতে হবে যেন পরীক্ষার্থীরা মানসিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণের সুযোগ পায়।
৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘পরীক্ষা কবে হবে তা আমরা এখনো জানি না। বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে জানলাম পরীক্ষা নাকি এপ্রিল মাসে হবে। এটা আমরা পরীক্ষার্থীরা মেনে নিতে পারিনি। তাই আমরা ৫০-এর অধিক পরীক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিকভাবে সরকারি কর্ম কমিশনে যাই এবং কিছু দাবি জানিয়ে এসেছি।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শরিফুল হাসান জানান, ‘৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার যখন অনুষ্ঠিত হবে তার অন্তত দুই মাস আগে রুটিন প্রকাশ করতে হবে এবং ৪৬তম লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার দুই মাস পর ৪৭তম প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নিতে হবে; যাতে পরীক্ষার্থীরা প্রিলি প্রস্তুতি নিতে পারে। এর বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত আমরা মানবো না।’
শুধু পরীক্ষার্থীরা নন, বিসিএস পরীক্ষার সময়সূচি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন রাজনৈতিক নেতারাও। জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব মো. মিরাজ মিয়া বৃহস্পতিবার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী পিএসসিকে আরও শিক্ষার্থীবান্ধব হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ৪৩-এ বাদ পড়াদের পুনরায় ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করে ঈদের আগেই গেজেট দিয়ে দিন। অপরাধী নয়, সন্ত্রাসী নয় এমন ছাড়া বাকিদের গেজেট দিয়ে দিন।
মিরাজ মিয়া লিখেন, ‘৪৪তম বিসিএসের ভাইভা এভাবে কচ্ছপ গতিতে না নিয়ে আরেকটু ফাস্ট নিতে হবে। একসাথে অনেকগুলো বিসিএসের জটলা পাকিয়ে ফেলবেন না। ৪৫-এর লিখিত রেজাল্ট দ্রুত পাবলিশ করার ব্যবস্থা করুন। এই রেজাল্ট মার্কস সহ প্রকাশ করতে হবে। স্বচ্ছতার ঘাপলা রাখা যাবে না। ৪৬-এর লিখিত নেওয়ার আগেই পূর্বেরটার লিখিত রেজাল্ট দিয়ে দিন। এক বিসিএসের লিখিত নেওয়ার আগে পূর্বের বিসিএসের লিখিত ফলাফল দিয়ে দিতে হবে।’
ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি আরো উল্লেখ করেন, ‘৪৬ লিখিত নেওয়ার উপযুক্ত সময় মে মাসের মাঝামাঝি বা শেষ সপ্তাহে চূড়ান্ত করুন। হুটহাট সিদ্ধান্ত নিয়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক প্রস্তুতির ব্যাঘাত ঘটে এমন কিছু করবেন না। ৪৭-এর প্রিলি জুন/জুলাইয়ে নেওয়ার আগে ৪৪-এর ভাইভা সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করুন, ৪৫-এর লিখিত রেজাল্ট দিয়ে দিন। রেজাল্ট নিয়ে খবর নাই, শুধু হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে এক্সাম আর এক্সাম দিয়ে লাভ নেই।’