৪৬তম বিসিএসের প্রিলি: পূর্ণ কমিশন সভা নিয়ে যা জানা গেল

সরকারি কর্ম কমিশন
সরকারি কর্ম কমিশন  © ফাইল ছবি

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা কবে আয়োজন করা হবে তা নিয়ে শঙ্কায় হাজারো চাকরিপ্রার্থী। নতুন তারিখ নির্ধারণের জন্য পূর্ণ কমিশনের সভা করতে হবে সাংবিধানিক সংস্থাটিকে। তবে সোমবার বেলা ৩টা পর্যন্ত সভার তারিখ চূড়ান্ত হয়নি।

সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) একটি সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন থাকায় ওইদিন ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। ৯ মার্চের পরিবর্তে আগামী ৮ মার্চ প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজন করা যায় কি না সে বিষয়টি ভেবে দেখা হচ্ছে। ৮ মার্চ পরীক্ষা আয়োজন করা না গেলে ঈদের পর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজন করতে হবে।

ওই সূত্র আরও জানায়, সাধারণত রোজার মধ্যে বিসিএসের পরীক্ষা আয়োজনের রেওয়াজ নেই। রোজার পর এপ্রিলে পরীক্ষা নেওয়া হলে ফল প্রকাশ থেকে শুরু করে লিখিত পরীক্ষা এবং ভাইভা শেষ করতে অনেক সময় লেগে যাবে। সেজন্য পিএসসি’র বেশ কয়েকজন সদস্য রোজার আগেই পরীক্ষা আয়োজনের কথা বলেছেন। তবে ঈদের পরও পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে। পূর্ণ কমিশনের সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে পিএসসি’র উচ্চ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ঈদের আগে নাকি ঈদের পর পরীক্ষা নেওয়া হবে সে বিষয়ে এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না। দুটোর যে কোনো একটি হতে পারে। ঈদের আগে পরীক্ষা আয়োজনের যেমন কারণ রয়েছে; তেমনি ঈদের পরও পরীক্ষা আয়োজনের যথেষ্ট কারণ হয়েছে। তাই এই মুহূর্তে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।’

জানা গেছে, ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার হল, আসন ব্যবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাসমূহ যথাসময়ে পিএসসির ওয়েবসাইটে এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

এর আগে গত বছরের ৩০ নভেম্বর ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ কর্ম কমিশন। যার আবেদন চলে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে ১০ ডিসেম্বর থেকে ৪৬তম বিসিএসের আবেদন শুরু হয়।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, এবার বিভিন্ন ক্যাডারে শূন্য পদের সংখ্যা ৩ হাজার ১৪০টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এই বিসিএসে সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন নেওয়া হবে। এর পরপরই সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে। বিভিন্ন বিষয়ে এই ক্যাডার থেকে বিসিএস শিক্ষায় ৫২০ জন নেওয়া হবে। প্রশাসনে ২৭৪, পররাষ্ট্রে ১০, পুলিশে ৮০, আনসারে ১৪, মৎস্যে ২৬ ও গণপূর্তে ৬৫ জন নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ