৪৫তম বিসিএসের পরীক্ষা পেছানো নিয়ে যা জানাল পিএসসি

সরকারি কর্ম কমিশন
সরকারি কর্ম কমিশন  © ফাইল ছবি

৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে। তবে হরতাল-অবরোধের কারণে পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানিয়েছেন প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা। পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে  প্রধান নির্বাচন কমিশন বরাবর আবেদনও করেছেন প্রার্থীরা।

চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন,  ৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা দিতে তাদের কোন আপত্তি নেই। তবে তফসিল ঘোষণার পর চলমান হরতাল-অবরোধ আরও ব্যাপক ও মারাত্মক আকার ধারণ করায় পরীক্ষার পরিবেশ নিয়ে তারা শঙ্কিত। ১২ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থীর মধ্যে অর্ধেকের বেশি পরীক্ষার্থী ঢাকা শহরের বিভিন্ন কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবেন। এই অবস্থায় স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে পরীক্ষা আয়োজনের দাবি তাদের।

‘আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। পরিস্থিতি যদি আরও বেশি খারাপ হয় তাহলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে’—সোহরাব হোসাইন, চেয়ারম্যান, পিএসসি

চাকরিপ্রার্থীদের দাবির বিষয়টি নিয়ে আজ সোমবার সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস। পিএসসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরীক্ষা পেছানোর কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। তবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো অনুরোধ করা হলে তা বিবেচনা করে দেখা হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিএসসি’র পরীক্ষা (ক্যাডার) শাখার এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘হরতাল-অবরোধ পরিস্থিতির মধ্যে ৪৩তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষা পুরোটাই ঢাকা কেন্দ্রীক। তবে কোনো সমস্যা ছাড়াই পরীক্ষা শেষ হতে চলেছে। অন্যদিকে ৪৩তম বিসিএসের পরীক্ষা বিভাগীয় পর্যায়ে হবে। প্রার্থীরা নিজ বিভাগে পরীক্ষা দেবেন। এক্ষেত্রে তাদের কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ‘আপাতত পরীক্ষা পেছানোর কোনো পরিকল্পনা পিএসসির নেই। ২৭ নভেম্বর থেকেই লিখিত পরীক্ষা শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। প্রশ্নপত্র তৈরির কাজও শেষ হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো অনুরোধ করা হলে পরীক্ষা পেছানোর বিষয়টি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

সোহরাব হোসাইন

এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। পরিস্থিতি যদি আরও বেশি খারাপ হয় তাহলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

এর আগে চলতি বছরের ১৯ মে ৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৩ লাখ ৪৬ হাজার পরীক্ষার্থী আবেদন করলেও পরীক্ষায় অংশ নেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১৯ জন। পরীক্ষা দেননি ৭৮ হাজার ৮০৩ জন।

গত ৬ জুন ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হয় ১২ হাজার ৭৮৯ জন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পর সবচেয়ে কম সময়ে এ ফল প্রকাশ করে পিএসসি। 

৪৫তম বিসিএসের মাধ্যমে মোট ২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডার নেওয়া হবে। নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে ১ হাজার ২২ জনকে। ৪৫তম বিসিএসে ২ হাজার ৩০৯ ক্যাডারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায়। সহকারী ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে ৫৩৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। চিকিৎসার পর সবচেয়ে বেশি শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ পাবেন ৪৩৭ জন। এরপর পুলিশে ৮০, কাস্টমসে ৫৪ ও প্রশাসনে ২৭৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ