বিসিএস ভাইভায় প্রার্থীকে যে প্রশ্নগুলো করা নিষেধ, পিএসসির নতুন নির্দেশনা

সরকারি কর্ম কমিশন
সরকারি কর্ম কমিশন  © ফাইল ছবি

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) মৌখিক পরীক্ষায় চাকরিপ্রার্থীদের কাছে দেশের রাজধানীর নাম, মুদ্রার নাম জাতীয় প্রশ্ন জানতে চাওয়া হবে না। এমনকি প্রার্থী কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং কোন জেলার সেটিও জানতে চাইবে না পরীক্ষকরা।

সম্প্রতি বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষায় নানা সংস্কার এনেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এসব সংস্কার নির্দেশনা আকারে ভাইভা বোর্ডের পরীক্ষকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা হয় ২০০ নম্বরের। পরীক্ষায় শতকরা ৫০ শতাংশ নম্বর পাস নম্বর হিসেবে ধরা হয়। মৌখিক পরীক্ষায় পাস নম্বর পেলে ক্যাডার তালিকায় আসবে কি না নিশ্চিত না হলেও নন-ক্যাডারে নাম থাকে। এর ফলে অন্য সরকারি চাকরিতে সুপারিশ পাওয়ার সুযোগ থাকে।

তবে অভিযোগ রয়েছে, ভাইভা বোর্ডে বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা জেলার নাম মিলে গেলে পরীক্ষকরা পক্ষপাতমূলক আচরণ করেন। এতে একই ধরনের পরীক্ষা দিয়ে কেউ পায় ১৭০ আবার কেউবা ১২০। 

পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, ভাইভা বোর্ডে পক্ষপাতমূলক আচরণ থেকে বিরত থাকতে পরীক্ষকদের প্রশ্ন করার বিষয়ে একাধিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মুখস্থ নির্ভর প্রশ্ন করতে নিষেধ করা হয়েছে। 

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষায় ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। ভাইভায় এমন কোনো প্রশ্ন করা যাবে না যা একজন প্রার্থী মুখস্থ বলে দিতে পারে। কোন দেশের মুদ্রার নাম কি, রাজধানীর নাম কি এ ধরনের প্রশ্ন করা থেকে পিএসসি বেরিয়ে এসেছে। 

তিনি বলেন, আমরা একজন গ্র্যাজুয়েটের ইন্টারভিউ নেই। কে কোন ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছে সেটি দেখা হয় না। যে এমবিবিএস পাস করে এসেছে তাকে চিকিৎসাবিদ্যা থেকেই প্রশ্ন করতে হবে বিষয়টি এমন না। আমরা এটি করিও না। আমরা এমন প্রশ্ন করি যা সবার জন্যই প্রযোজ্য। কে আইন নিয়ে পড়েছে আর কে সাংবাদিকতা নিয়ে পড়েছে তা মুখ্য বিষয় নয়।

ভাইভা বোর্ডের প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে পিএসসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, মৌখিক পরীক্ষায় আমরা বানিয়ে প্রশ্ন করি। এমন প্রশ্ন করি যা বই বা অন্য কোথাও নেই। এটি মূলত করা হয় প্রার্থী কীভাবে প্রশ্নের উত্তর দেয় সেটি দেখার জন্য। প্রার্থীর বাচনভঙ্গি কেমন, আই কন্টাক্ট কেমন, ভাষার ব্যবহার কেমন, শব্দ চয়ন কেমন, কনফিডেন্স লেভেল কেমন, যে উত্তর দিচ্ছে তার মধ্যে যুক্তিতর্ক রয়েছে কি না, প্রার্থীর মধ্যে ক্রিটিক্যাল থিংকিং বিষয়টি রয়েছে কি না এই বিষয়গুলো দেখা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ