পিএসসিতে সদস্য বাড়িয়ে ২০ জন করার সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২২, ০৪:০১ PM , আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২২, ০৪:০১ PM
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এক্ষেত্রে সংসদে উত্থাপিত আইনে ১৫ জন সদস্যের জায়গায় ২০ জন করার সুপারিশ করেছে কমিটি। এছাড়া কর্ম কমিশন সচিবালয় গঠনের বিষয়টি আইনি কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত এবং আইনের অধীনে বিধিমালা প্রণয়নের বিধান যুক্ত করার কথাও বেলা হয়েছে।
এসব নতুন বিধান যুক্তসহ প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন ও পরিমার্জন করে ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন বিল ২০২২’ এর বিষয়ে জাতীয় সংসদে চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রণয়নের সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।
আইনে প্রস্তাবিত ১৫ জন সদস্যের স্থলে ২০ জন করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে সংসদীয় কমিটি বলেছে, সরকারি কর্ম কমিশনের ১২ গ্রেড ও তদুর্ধ্ব (ক্যাডার ও নন-ক্যাডার) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে প্রাক বাছাই, লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ব্যবহারিক পরীক্ষা গ্রহণ, ফলাফল প্রস্তুত ও ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এছাড়াও এর পাশাপাশি নিয়োগবিধি ও কর্মের শর্তাবলী ইত্যাদি বিষয়ে কমিশন পরামর্শ প্রদান করে থাকে।বিদ্যমান সদস্যদের পক্ষে যথাসময়ে পরামর্শ দেওয়া প্রায়শই সম্ভব হয় না। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং বাংলাদেশ সংবিধান কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব যথাযসময়ে সম্পাদনের জন্য কমিশনের সদস্য সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন।
কমিশন সচিবালয় গঠনের বিষয়টি আইনি কাঠামো হতে আনার যুক্তি হিসেবে কমিটি বলেছে, কমিশন সচিবালয়ের মাধ্যমে যাবতীয় সাচিবিক কাজ সম্পন্ন হয়ে থাকে। কিন্তু কমিশন সচিবালয় প্রতিষ্ঠা সম্পর্কিত কোনও বিষয় আইনে উল্লেখ না থাকায় কর্ম সম্পাদনে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এমতাবস্থায় কমিশন সচিবালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়টি আইনে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।
সংসদীয় কমিটি সংসদে উত্থাপিত আইনে নতুন একটি ধারা (১৯) যুক্ত করে আইন ও বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা দেওয়ার কথা বলেছে। তারা বলেছে- আইনের ব্যাখ্যা, কমিশনের দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালনের জন্য বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা আইনে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।
এদিকে জমির মৌজা রেট নির্ধারণে দলিলের গড় মূল্যের ওপর ভিত্তি না করে সরেজমিন পরিদর্শন করে গুচ্ছভিত্তিক জমির মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে যে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে সংসদীয় কমিটির আগামী বৈঠকে তা উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটি সদস্য ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, আ.স. ম ফিরোজ, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, দীপংকর তালুকদার, পনির উদ্দিন আহমেদ, ফেরদৌসী ইসলাম এবং মোকাব্বির খান অংশ নেন।