ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

ছয়দফা দাাবিতে আন্দোলন

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলন  © সংগৃহীত

দীর্ঘদিন ধরে ছয় দফা দাবিতে আন্দোলনে করে আসছেন দেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। সড়ক, মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করলেও কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কার্যকর সাড়া না পেয়ে তারা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সম্পূর্ণ শাটডাউনের মতো কঠোর কর্মসূচিও পালন করে। এর ফলে শিক্ষাকার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে এবং একাডেমিক ক্যালেন্ডারে দেখা দিয়েছে মারাত্মক বিশৃঙ্খলা। অথচ এমন সংকটময় পরিস্থিতিতেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। শিক্ষার্থীদের এই দীর্ঘ আন্দোলনের পরও কোনো গঠনমূলক সংলাপ বা সমাধান উদ্যোগ না নেওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে—যা ভবিষ্যতে আরও চরম সংকটের জন্ম দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে শাটডাউন কর্মসূচি চলাকালে গত ৭ মে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শিক্ষক, আইডিবি এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বসেন। সেখানে শিক্ষার্থীরা শাটডাউন কর্মসূচি শিথিল করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সেদিন বিকেলেই এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে লাগানো তালা খুলে দেন শিক্ষার্থীরা। তবে ছয় দফা দাবির প্রেক্ষিতে তাদের আন্দোলন আগের মতোই চলমান থাকবে বলে জানান কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের নেতারা।

অপরদিকে গত ২১ এপ্রিল সচিবালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আলোচনার জন্য ডাকা হয়। সেখানে ছয় দফা বাস্তবায়ন নিয়ে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। পরের দিন ২২ এপ্রিল সচিবালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ থেকে ছয় দফা বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে ২১ কর্মদিবসের মধ্যে দাবিগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, সেগুলোর একটি রূপরেখা তৈরি করতে বলা হয়েছে। 

আন্দোলনের প্রেক্ষাপট

২০২১ সালে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ ‘ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর’ নিয়ে নীতিগত পরিবর্তন আনা হয়, যার ফলে শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি ক্ষোভের পথচলা। তৎকালীন সচিব আমিনুল ইসলাম খান দায়িত্বে থাকাকালীন এই পদে নিয়োগের যোগ্যতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ রদবদল করেন। পূর্বে শুধুমাত্র কারিগরি শিক্ষা থেকে এসএসসি ও এইচএসসি উত্তীর্ণরাই এই পদের জন্য বিবেচিত হতেন। কিন্তু সচিবের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সাধারণ শিক্ষা ধারার শিক্ষার্থীদের জন্যও নিয়োগের পথ খুলে দেওয়া হয়। ফলে কারিগরি শিক্ষার ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তৈরি হয় চরম অসন্তোষ।

পরবর্তী সময়ে, পদোন্নতির দাবিতে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টররা উচ্চ আদালতে রিট করেন। ২০২৫ সালের ১৬ মার্চ এই মামলার রায়ে ইনস্ট্রাক্টরদের পক্ষে আদেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু রায় ঘোষণার পরপরই কারিগরি শিক্ষার্থীরা নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে আন্দোলনের ডাক দেন। ওইদিনই তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা মোড়ে তারা প্রথমবারের মতো অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন, যা অল্প সময়েই দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

১৬ মার্চের পর থেকেই আন্দোলনের গতি বাড়তে থাকে। দেশের নানা প্রান্তে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসেন ছয় দফা দাবিতে। কোথাও তারা সড়ক অবরোধ করেন, কোথাও বা রেলপথ অবরোধের মতো কৌশল গ্রহণ করেন। কেউ কেউ আবার ‘কাফনের কাপড়’ পরে প্রতীকী প্রতিবাদ জানান। মশাল মিছিল, সমাবেশ এবং অব্যাহত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আন্দোলন হয়ে ওঠে অধিক সংগঠিত ও ধারালো। শেষমেশ শিক্ষার্থীরা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন এবং সর্বশেষ তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে নীতিনির্ধারকদের টনক নড়ে। 

জানা যায়, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর পদের মর্যাদা ও কাঠামো সরকারি গেজেট, মন্ত্রণালয়ের আদেশ, বদলি নির্দেশনা এবং প্রশিক্ষণ কাঠামো অনুযায়ী মূলত শিক্ষক পদ হিসেবেই বিবেচিত। অথচ দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করেও এদের পদোন্নতির কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। যেখানে অন্যান্য কারিগরি শিক্ষক ও ইনস্ট্রাক্টররা নির্ধারিত সময় পরপরই ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত পদোন্নতির সুযোগ পাচ্ছেন, সেখানে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টররা একই পদে আটকে আছেন বছরের পর বছর। অন্যদিকে, যারা ডিপ্লোমা পাস করে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে দশম গ্রেডে নিয়োগ পান, তারা ধাপে ধাপে পদোন্নতি পেয়ে চতুর্থ গ্রেডে অধ্যক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা রাখেন। এই বৈষম্যই ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর ও কারিগরি শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ সঞ্চার করেছে এবং আন্দোলনের ভিত্তি গড়ে দেয়।

আন্দোলনের মুখে পদোন্নতি দেওয়া সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত

সারাদেশে তুমুল আন্দোলনের মুখে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের করা আবেদনের শুনানি শেষে গত ২০ এপ্রিল ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে পদোন্নতি দেওয়া সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হকের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আবেদনটি আগামী ১৮ মে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। তবে এই রায়ে সন্তুষ্ট নন আন্দোলনরত পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। তারা রায় এবং এ সংক্রান্ত মামলা পুরোপুরি বাতিল চান।

ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের প্রমোশন নিয়ে ‘বিভ্রান্তি’

ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের অভিযোগ, আদালতের রায়ে কোথাও ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে সরাসরি ৩০ শতাংশ পদোন্নতির কথা উল্লেখ নেই। বরং টেক ও নন-টেক উভয় ক্ষেত্রেই নিজ নিজ বিষয়ভিত্তিক উচ্চতর পদে পদোন্নতির কথা বলা হয়েছে। এমনকি যে-সব পদে পদোন্নতি সম্ভব নয়, সেসব ক্ষেত্রে নতুন পদ সৃষ্টি করে প্রমোশনের সুযোগ দেওয়ারও নির্দেশ রয়েছে আদালতের রায়ে। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও গত ৫০ বছরে এ পদে কোনো প্রমোশন দেওয়া হয়নি। তাই দীর্ঘদিনের বঞ্চনার অবসান ঘটাতে তারা আইনগত পথে হেঁটেছেন। বর্তমানে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর পদের বিপরীতে ৯৫০-এর অধিক বিএসসি বা ডিপ্লোমাধারী এবং সমান সংখ্যক পদার্থ ও রসায়ন বিষয়ে স্নাতক উত্তীর্ণ প্রার্থী রয়েছেন। 

তাদের দাবি, পলিটেকনিক শিক্ষক ও ইঞ্জিনিয়াররা ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের শিক্ষাগত যোগ্যতাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে ছাত্রদের বুঝিয়ে যে, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের প্রমোশন হলে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ছাত্রদের চাকরির সুযোগ কমে যাবে। এমন প্রেক্ষাপটে আইনি প্রক্রিয়া না মেনে জনমত গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ‘মব’ সিস্টেমের আশ্রয় নিয়েছে আন্দোলনকারীরা। অভিযোগ করে তারা বলেন, ২০১৩ সালেও এ ধরনের কৌশল অবলম্বন করে ১০ম গ্রেড শুধুমাত্র ডিপ্লোমা উত্তীর্ণদের জন্য বরাদ্দ করে নেওয়া হয়েছিল। 

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি

ছয় দফা দাবির মধ্যে প্রথমটি হলো জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা বাতিল করতে হবে। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্ট কর্তৃক বাতিল করতে হবে। ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চাকরিচ্যুত করতে হবে। ২০২১ সালে রাতের আঁধারে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে বাতিল এবং সেই বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে।

দ্বিতীয় দাবি, ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিল করতে হবে। উন্নত বিশ্বের আদলে চার বছর মেয়াদি মানসম্পন্ন কারিকুলাম চালু করতে হবে এবং একাডেমিক কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে ইংরেজি মাধ্যমে করতে হবে।

তৃতীয়ত, উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (দশম গ্রেড) থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকা সত্ত্বেও যেসব সরকারি, রাষ্ট্রীয়, স্বায়ত্তশাসিত ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিম্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

চতুর্থ দাবি, কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, সহকারী পরিচালক, বোর্ড চেয়ারম্যান, উপসচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সব পদে কারিগরি শিক্ষা বহির্ভূত জনবল নিয়োগ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তা আইনানুগভাবে নিশ্চিত করতে হবে। এই পদগুলোয় অনতিবিলম্বে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ ও সব শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।

পঞ্চম দাবি, স্বতন্ত্র ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা’ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা ও ‘কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন’ গঠন করতে হবে। আর ষষ্ঠ দাবি হলো পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগের লক্ষ্যে একটি উন্নত মানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পাশাপাশি নির্মাণাধীন চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (নড়াইল, নাটোর, খাগড়াছড়ি ও ঠাকুরগাঁও) পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পাস এবং ডুয়েটের আওতাভুক্ত একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আগামী সেশন থেকে শতভাগ আসনে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।

আরও পড়ুন: ইশরাককে মেয়র পদে নিযুক্ত করার দাবিতে আজও সড়কে অবস্থান

ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী সিয়াম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা ছয় দফা যৌক্তিক দাবি নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছি। বারবার রাস্তায় নেমেছি, প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে রেল ও সড়ক অবরোধ করেছি, তবুও আমাদের দাবির প্রতি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। এক পর্যায়ে আমরা বাধ্য হয়ে শাটডাউনের মতো কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হই। এতে আমাদের নিজেরই শিক্ষা কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, এই দাবি বাস্তবায়ন ছাড়া আমাদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই, কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে গঠনমূলক সংলাপে বসুক এবং দাবিগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করুক। আমরা আইডিবি ও শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে ইতোমধ্যে আমাদের কর্মসূচি কিছুটা শিথিল করেছি, তালাও খুলে দিয়েছি, কিন্তু আন্দোলন থেমে যায়নি। কারণ, দাবিগুলোর কোনো সুনির্দিষ্ট সমাধান এখনও আসেনি। আমরা হতাশ, ক্ষুব্ধ, কিন্তু আশাহত নই। আশা করি, সরকার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে অবমূল্যায়ন না করে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। অন্যথায় ভবিষ্যতে আরো বড় সংকট দেখা দিতে পারে, যার দায়ভার প্রশাসনকেই নিতে হবে।’

কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী সদস্য জুবায়ের পাটোয়ারী বলেন, ‘আন্দোলন চলছে এবং চলবে, তবে কেউ রাজপথে থাকবে না। ছয় দফা বাস্তবায়ন কমিটির খসড়া একটা এসেছে আমাদের কাছে। সেটাতে কিছু মত-দ্বিমত রয়েছে। আমরা প্রস্তাবনা পাঠাবো যে কীভাবে করতে হবে। কমিটি চূড়ান্ত ফলাফল কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের জানাবে। সেটির ওপর নির্ভর করছে আমরা আন্দোলন করব, কি করব না।’

ছয় দফা দাবি বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য ও ছাত্র প্রতিনিধি রহমত উল আলম শিহাব বলেন, ‘মোটামুটি একটা খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এটি নিয়ে আরও আলোচনার ব্যাপার রয়েছে। খুব দ্রুতই এটির ফাইনাল প্রকাশ করা হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ