নন-ক্যাডার নীতিমালা সরকারের, কিছু করার নেই—বলছে পিএসসি

সরকারি কর্ম কমিশন
সরকারি কর্ম কমিশন  © ফাইল ছবি

৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডার নিয়োগে জটিলতা ও আন্দোলনের পর এর দায় নিতে চাইছে না সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ সমস্যার সমাধান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দিতে পারবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সমস্যা সমাধানে বিধিমালা বাস্তবায়নেই সমাধান দেখছেন তারা।

চাকরিপ্রার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে, পদসংখ্যা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত বাতিল, ৪০তম বিসিএসে উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার অপেক্ষমাণ তালিকার প্রার্থীদের সর্বোচ্চসংখ্যককে নিয়োগের সুপারিশ, ৩৪ থেকে ৩৮তম বিসিএসের প্রক্রিয়ায় উদ্ভূত সমস্যার সমাধান এবং পিএসসির স্বচ্ছ, নির্ভরযোগ্য ও বেকারবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে ধারা অব্যাহত রাখা।

পিএসসির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, পিএসসি নিজেদের কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে না। সরকারের বিধিতে যা বলা আছে, সেটিই বাস্তবায়ন করছে। নীতিমালা অনুসারে নিয়োগ দেওয়া না-দেওয়া পিএসসির ইচ্ছায় হবে না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলতে আন্দোলনকারীদের পরামর্শ তার।

পিএসসির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিধিমালা সরকারের, পিএসসি কেবল পরীক্ষা নেওয়া ও নিয়োগের সুপারিশ করে। এর বাইরে কিছু করার নেই। আন্দোলনকারীদের বিষয়টি বুঝতে হবে। পিএসসির ওপর চাপ দিলেও কিছু করতে পারবে না। এ বিষয়ে সরকারের নির্দেশনা বা সংযোজন-বিয়োজন করতে হলে পিএসসি সেটা বাস্তবায়ন করবে।

আরো পড়ুন: ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডারদের কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি আজ

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নন-ক্যাডার নিয়োগের সঙ্গে যুক্ত এক কর্মকর্তা বলেন, আন্দোলনকারীরা যে ইস্যুতে আন্দোলন করছে, তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তাদের জন্য যা ভালো হয়, সেটিই করার চেষ্টা চলছে। নীতিমালা বাস্তবায়ন হলেই সবাই লাভবান হবে।

ছয় দফা দাবিতে পিএসসির সামনে ৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডার চাকরিপ্রার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। গত সোমবার পিএসসির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বের হওয়ার সময় তাঁর গাড়ি যেতে বাধা দেন তারা। একপর্যায়ে কয়েকজন গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন করবেন বলে জানিয়েছেন।

৬ অক্টোবর পিএসসির সামনে ও ১৬ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে মানববন্ধন করেছিলেন তারা। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাডার পদের পাশাপাশি নন-ক্যাডারের সংখ্যাও উল্লেখ থাকবে। তবে ৪০, ৪১, ৪৩ ও ৪৪তম বিসিএসে যে শূন্য পদের চাহিদা এসেছে, তা পর্যালোচনা করে নিয়োগের সুপারিশ করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ