ইউজিসিতে গবির প্রতিনিধি দল, বিভাগ চালুসহ সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনা

ইউজিসিতে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল
ইউজিসিতে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল   © টিডিসি ফটো

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে গণ বিশ্ববিদ্যালয় (গবি) প্রতিনিধি দল। এ সময় প্রতিনিধি দলটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকটি নতুন বিভাগ চালুসহ চলমান কয়েকটি বিভাগের মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু এবং আসন বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়েছেন।

প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানিয়েছেন, সাক্ষাৎকারে ইউজিসির পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে বিদ্যমান কিছু সংকট সমাধানেও ইউজিসি সার্বিক সহযোগিতা করবে বলেও আশ্বস্ত করে।

সম্প্রতি, গবি ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এ সাক্ষাৎ করেন। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, ট্রেজারার অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম, ভৌত ও গাণিতিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক মো. করম নেওয়াজ, রেজিস্ট্রার এস তাসাদ্দেক আহমেদ, বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের প্রধান ড. ফুয়াদ হোসেন প্রমুখ।

প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানিয়েছেন, সাক্ষাৎকারে প্রতিনিধি দলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাবনা, সুযোগ ও প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ইউজিসির কাছে তুলে ধরেছে। উচ্চ শিক্ষাকে সকলের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বিগত দুই যুগ ধরে নিরলসভাবে বিশ্ববিদ্যালয়টি কাজ করে যাচ্ছে। ইউজিসির সহযোগিতা পেলে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষা ও গবেষণায় দেশের নেতৃত্বের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে।

আরও পড়ুন : যে বেশি শিক্ষিত, তার বেকার থাকার সম্ভাবনাও বেশি

ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, গণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সাথে যারা জড়িত ছিলেন তারা সত্যিকার অর্থেই দেশের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ, নারীর ক্ষমতায়ন ও গ্রামের উন্নয়নে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা প্রশংসনীয়। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে উল্লেখ করে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।

অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন জানান, শুরুতে ইউজিসির সাথে আমাদের চিঠির মাধ্যমে যোগাযোগ হতো। পরবর্তীতে একটা প্রতিনিধি দল নিয়ে তাদের সাথে আমরা বসেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে আলোচনা করি এবং নতুন বিভাগ খোলা, সিট বাড়ানো, কিছু কোর্সে মাস্টার্স খোলার বিষয়ে কথা হয়। তারা আমাদের বিষয়গুলো পজিটিভলি নিয়েছেন। কিছু বিষয়ে তাদের আপত্তি ছিল সেগুলো আমাদের সংশোধনের সাপেক্ষে তারা মেনে নিবেন বলে সদয় জ্ঞাপন করেছেন।


সর্বশেষ সংবাদ