বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ‌‌‌‘গ্র্যাজুয়েটদের বাস্তব চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার

'রিয়েল-লাইফ চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটিজ অব এ ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট' শীর্ষক সেমিনার
'রিয়েল-লাইফ চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটিজ অব এ ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট' শীর্ষক সেমিনার  © টিডিসি

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে 'রিয়েল-লাইফ চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটিজ অব এ ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট' শীর্ষক এক বিশেষ ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার সেন্টারের উদ্যোগে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের খ্যাতনামা শিল্পপ্রতিষ্ঠান রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান। আরও উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. খাদেমুল ইসলাম মোল্যা, উপ-উপচার্য প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. ফয়জার রহমান, নির্বাহী পরিচালক মো. শামীম আহসান পারভেজ, রেজিস্ট্রার সুরঞ্জিত মন্ডলসহ বিভিন্ন স্কুলের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, কো-অর্ডিনেটর ও শিক্ষকবৃন্দ।

আরও উপস্থিত ছিলেন অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন বিভাগের ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীবৃন্দ। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. এ. এইচ. এম রহমতউল্লাহ ইমন।

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে ব্যতিক্রমী দুটি ফুটবল দল গঠনের প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, পূর্বে বাছাইকৃত ২৫ জন শিক্ষার্থীকে দুটি ফুটবল দল গঠনের নির্দেশ দেন। শিক্ষার্থীরা মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে ১ জন রেফারি ও ২ জন সহকারী রেফারিসহ দুটি ফুটবল দল গঠন করেন। দল গঠনের পারদর্শীতা, পর্যালোচনা করার উদ্দেশ্যেই এই আয়োজন করা হয়।

এরপর শিক্ষার্থীরা অডিটেরিয়ামের সেমিনারে যোগ দেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. খাদেমুল ইসলাম মোল্যা। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাস্তব জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত করতে হলে কেবল অ্যাকাডেমিক জ্ঞানই যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন বাস্তবমুখী দিকনির্দেশনা ও অনুপ্রেরণা। এই ধরনের সেমিনার শিক্ষার্থীদের দক্ষতা, আত্মত্মবিশ্বাস ও ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করে।

মূল বক্তব্য শুরুর পূর্বে ২০২৪-২৫ এ বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা ৩ জন গবেষককে সম্মাননা প্রদান করা হয়। গবেষণায় অবদানের জন্য রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মো. হাবিবুল্লাহ, পাবলিক হেলথ বিভাগের প্রধান ও প্রক্টর ড. মো. আবদুল আউয়াল এবং প্রকাশনার ক্ষেত্রে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক হাসিবুল ইসলামকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

এরপর শুরু হয় হাফিজুর রহমান খানের অনুপ্রেরণা ও দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য। তিনি তাঁর ছাত্রজীবনের সংগ্রামের দিন, ক্যারিয়ারে সফল হওয়ার পেছনের গল্প এবং উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে ওঠার নানা অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শুরুটা সহজ ছিল না। অধ্যবসায়, সততা এবং ধৈর্য আমাকে আজকের অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষে চাকরি বা উদ্যোক্তা হবার পথ কখনোই মসৃণ থাকে না। তবে প্রতিটি চ্যালেঞ্জই শেখার সুযোগ করে দেয়।

তিনি ক্যারিয়ারের চ্যালেঞ্জ যেমন-প্রথম চাকরি পাওয়ার কৌশল, স্কিল ডেভেলপমেন্ট, ব্যর্থতা মোকাবিলা ও নেটওয়ার্কিং-এর উপর গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেন। এরপর শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব। শিক্ষার্থীরা প্রধান বক্তার কাছে ক্যারিয়ার চ্যালেজ, কীভাবে একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়া যায়, কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধির কৌশল ইত্যাদি বিষয় জানতে চান। প্রধান বক্তা আন্তরিকতার সাথে সেসব প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন।

সেমিনারের সভাপতি ও ক্যারিয়ার সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. এ.এইচ.এম. রহমতউল্লাহ ইমন সকলকে ধন্যবাদ দিয়ে সেমিনারের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।


সর্বশেষ সংবাদ