দেশে-বিদেশে বহুমুখী ক্যারিয়ারের হাতছানি ইউসিএসআই’র কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ডিজিটাল ইনোভেশন অনুষদে পড়ে

কম্পিউটার ল্যাবে শিক্ষার্থীরা ও ইউসিএসআই লোগো
কম্পিউটার ল্যাবে শিক্ষার্থীরা ও ইউসিএসআই লোগো  © টিডিসি সম্পাদিত

কম্পিউটার সায়েন্স এখন আর শুধু গ্র্যাজুয়েশনের বিষয় নয়; এটি এখন ভবিষ্যতের ভাষা, উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের চাবিকাঠি। প্রকৃত অর্থে, বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির ভাষা বোঝার মতো প্রয়োজনীয় দক্ষতাসম্পন্ন মানুষ খুব কমই আছে বাংলাদেশে। আর এই ভাষা শেখার সবচেয়ে কার্যকর পথ হলো কম্পিউটার সায়েন্স। পৃথিবী দিন দিন যত কম্পিউটার–নির্ভর হচ্ছে; এই বিষয়ে পড়ে দেশে ও বিদেশে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগও বাড়ছে তত। মডার্ন বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা, মানসম্মত বেতন, গুগল-মাইক্রোসফটসহ বিশ্বের জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ, সর্বোপরি ইনফরমেশন টেকনোলজির প্রতি মুগ্ধতাই তরুণদের কম্পিউটার সায়েন্সে আগ্রহী করে তুলছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি উন্নয়নশীল তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতেও এখন এই বিষয়ের উচ্চশিক্ষায় প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।

এত সব সম্ভাব্যতা-সম্ভাবনা পূরণে নতুন পথ হলো, দেশে থেকেই বিশ্বমানের ডিগ্রি ও স্বপ্নের ক্যারিয়ার— সবকিছুই এখন সম্ভব মালয়েশিয়ার ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাসের কম্পিউটার সায়েন্স পড়ে। প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফ্যাকাল্টি অফ কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ডিজিটাল ইনোভেশনের প্রোগ্রামগুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার সঙ্গে সংযুক্ত; যা শিক্ষার্থীদের বিশ্বের শীর্ষস্থানের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার অভিজ্ঞতা দেবে। অনুষদের অধীনে ৪ বছর মেয়াদী প্রোগ্রাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ব্যাচেলর অব কম্পিউটার সায়েন্স (অনার্স); ব্যাচেলর অব কম্পিউটার সায়েন্স (অনার্স) ইন মোবাইল কম্পিউটিং অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং এবং বিএসসি (অনার্স) ইন বিজনেস ইনফরমেশন সিস্টেমস। তথ্য প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল ইনোভেশনের ক্ষেত্রে আধুনিক ও বিশেষায়িত এসব কোর্সসমূহের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার সম্ভাবনা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে ও পাবে— এমনটাই মনে করেন বিভাগ সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি সঠিক দিক-নির্দেশনায় ও সৃজনশীল পরিবেশে তৈরি হবে সাফল্যের নতুন দিগন্ত।

ডেপুটি ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. বিজয় প্রসাদ বড়ুয়া

ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাসের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. বিজয় প্রসাদ বড়ুয়া বলেন, ইউসিএসআই'র ফ্যাকাল্টি অব কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ডিজিটাল ইনোভেশনের প্রোগ্রামগুলো ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে অনন্য। আমরা শিক্ষার্থীদের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ওপর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকি; যা তাদেরকে কর্মজীবনের প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রাখে। এখানকার কোর্স ও পাঠ্যসূচি সময় ও যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডিজাইন করা। সক্ষমতা, গবেষণা এবং উদ্ভাবনী উদ্যোগের মাধ্যমে ডিজিটাল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে নতুন নতুন পদ্ধতি এবং সমাধান তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ইউসিএসআই— এমনটাই অভিমত ড. বিজয় প্রসাদ বড়ুয়ার।

প্রতিষ্ঠান কর্তারা বলছেন, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বমানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েই নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ব্যতিক্রমী একাডেমিক প্রোগ্রাম, সাশ্রয়ী টিউশন ফি এবং কর্মভিত্তিক জ্ঞানের ওপর গুরুত্ব প্রদান করেই শিক্ষার্থীদের জন্য একটি উদ্ভাবনী ও দক্ষতামুখী শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করেছে বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা এ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠান শীর্ষদের ভাষ্য, ইউসিএসআই শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক ডিগ্রি অর্জনের পর দেশি-বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানিগুলোতে চাকরির সুযোগ পাবেন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুযোগ পাবেন বাংলাদেশে-মালয়েশিয়ান মালিকানাধীন ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে। এছাড়াও, আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোতেও ক্যারিয়ার গড়ার অসাধারণ সুযোগ থাকবে বলে অভিমত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। তারা আরও জানান, ইউসিএসআইয়ের ডিগ্রি শুধু চাকরির সুযোগই তৈরি করবে না; পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিখাতে ব্যবসায়িক নেতৃত্ব গঠন ও উদ্যোক্তা হওয়ার পথও সুগম করবে। এছাড়াও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ডিজিটাল ইনোভেশনের কারিকুলামে ব্যবসা পরিচালনা, স্টার্টআপ ম্যানেজমেন্ট ও ইনোভেশন বিষয়ক শিক্ষা দেওয়া হয়; যা শিক্ষার্থীদের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে ও সফল উদ্যোক্তা হতে সহায়তা করবে। এজন্য গড়ে তোলা তোলা হয়েছে ইনকিউবেশন সেন্টার, ইন্ডাস্ট্রি কানেকশন ও মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম; যা আদতে শিক্ষার্থীদের চাকরির চেয়ে স্টার্টআপ শুরু করতেই বেশি অনুপ্রাণিত করে থাকে।

সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ার গড়তে উন্নত মানবসম্পদ তৈরিতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে ইউসিএসআই। দক্ষ প্রশিক্ষক ও গবেষণার সুযোগের পাশাপাশি বাস্তবমুখী শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে প্রস্তুত করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। অনন্য ভূমিকা রাখছে শিল্প ও প্রযুক্তির সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন, কর্মসংস্থানের নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি এবং ক্যারিয়ার-গঠনমূলক শিক্ষায়। সার্বিকভাবে বলাই যায়— শিক্ষার্থীদের একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম করে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি।

সহকারী অধ্যাপক ড. টিএস রেনু এ/এল কোলান্ডাইসামি

ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাসের ফ্যাকাল্টি অফ কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ডিজিটাল ইনোভেশনের এফিলিয়েট ডিন ও সহকারী অধ্যাপক ড. টিএস রেনু এ/এল কোলান্ডাইসামি বলেন, এখানকার প্রোগ্রামগুলো ডিজিটাল প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রকে অন্তর্ভুক্ত করে থাকে; যার মাধ্যমে আমরা অত্যাধুনিক জ্ঞান ও দক্ষতা প্রদান করে থাকি। শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের পাঠ্যক্রম সাম্প্রতিক শিল্প বিপ্লব এবং প্রযুক্তির চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ডিজাইন করা। আমাদের লক্ষ্য, শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা এবং সমস্যা সমাধানের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং এর মধ্য দিয়েই শিক্ষার্থীরা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবে- সেই বিশ্বাস আমাদের রয়েছে।

কেন পড়বেন ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি-তে
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ উভয় দেশের সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত দেশের প্রথম ফরেন ইউনিভার্সিটির শাখা ক্যাম্পাস চালু করেছে ইউসিএসআই। বিশ্বব্যাপী সমাদৃত ইউসিএসআই ২০২৫ সালের কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিংয়ে ২৬৫তম, এশিয়ার মধ্যে ৪৫, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নবম অবস্থানে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ডিজিটাল ইনোভেশন বিভাগ কিউএস র‌্যাংকিংয়ে সেরা ৫০০ এর মধ্যে রয়েছে। ফলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মানের ইউনিভার্সিটিতে পড়ার পরিবেশ পাচ্ছেন। মালয়েশিয়ার সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোর্স কারিকুলাম অনুসরণ করে পাঠদান দিয়ে থাকে ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয়। এ কারিকুলাম সব প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে কার্যকর। 

এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ স্কলারশিপ সুবিধা প্রদান করছি। ব্যাচেলর প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি, এইচএসসি এবং ‘ও’ লেভেল ও ‘এ’ লেভেল ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে স্কলারশিপ দেওয়া হয়। মাস্টার্স প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাচেলর ডিগ্রির ফলাফল ও প্লেসমেন্ট টেস্টের ফলাফলের বিবেচনায় স্কলারশিপ প্রদান করা হয়। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে আমাদের ক্যাম্পাস ৫ কোটি টাকার বেশি স্কলারশিপ ও বিশেষ শিক্ষা সহায়তা প্রদান করেছে। চলতি শিক্ষাবর্ষেও থাকছে পর্যাপ্ত স্কলারশিপের সুযোগ। এছাড়াও, একই পরিবারের একাধিক সদস্য, গরীব কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্যও জন্য বিশেষ শিক্ষা সহায়তার সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ নৈপূণ্য প্রদর্শনকারীদের জন্য রয়েছে বিশেষ শিক্ষা সহায়তার ব্যবস্থা।

এছাড়াও শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা। বিশ্বের শীর্ষ ১ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়সহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়ার নামি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া মালয়েশিয়ায় অবস্থিত মূল ক্যাম্পাসে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ রয়েছে।

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি
এশিয়া এবং বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ইউসিএসআইয়ের ফ্যাকাল্টি অফ কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ডিজিটাল ইনোভেশন অন্যতম এবং দক্ষতার দিক থেকে ‘রিজিওনাল সেন্টার’ হিসেবে ইউনাইটেড ন্যাশনস (ইউএন) ইউনিভার্সিটি স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও মালয়েশিয়ার সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোর্স কারিকুলাম ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাসে পড়ানো হয়। এই কারিকুলাম শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা এবং সৃষ্টিশীল চিন্তাধারার উন্নয়নে যেমন সহায়ক, তেমনই তাদের ক্যারিয়ার সম্ভাবনাকেও নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে।

এর বাইরেও ইউসিএসআই শিক্ষার্থীদের জন্য আছে বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা। বিশ্বের শীর্ষ ১% বিশ্ববিদ্যালয়সহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়ার নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও, মালয়েশিয়ায় অবস্থিত মূল ক্যাম্পাসে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ রয়েছে। 

আধুনিকতার ছোঁয়া রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে গড়া ক্যাম্পাসে
রাজধানী ঢাকার বনানী এলাকায় ১৫ তলা নিয়ে ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠিত; যা ৫০ হাজার বর্গফুটের বেশি জায়গাজুড়ে বিস্তৃত। এই ক্যাম্পাসে গ্লোবাল স্মার্ট ক্লাসরুম, ইন্টারঅ্যাকটিভ লার্নিং সুবিধা, প্রযুক্তিগত গবেষণার আধুনিক ল্যাব, বিষয়ভিত্তিক বিবিধ বইয়ের সমাহারে সমৃদ্ধ লাইব্রেরি এবং মালয়েশিয়ার মূল ক্যাম্পাসের সঙ্গে যুক্ত অনলাইন লাইব্রেরি সুবিধা রয়েছে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য রয়েছে স্পোর্টস জোন, যেখানে তারা বিভিন্ন খেলাধুলার সুযোগ পাবেন। বিভিন্ন সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও ইভেন্ট আয়োজনের জন্য রয়েছে সুসজ্জিত হলরুম। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য রয়েছে বিশেষ টিচার্স ও স্টুডেন্ট লাউঞ্জ। শিক্ষার্থীদের দেশি-বিদেশি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করাতে ও নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশে সহায়তা করতে কারিকুলামের অন্তর্ভুক্ত মাল্টি-কালচারাল ক্লাব অ্যাকটিভিটিজ যুক্ত করা হয়েছে।

বিদেশি ডিগ্রিধারী এক ঝাঁক শিক্ষক
ইউসিএসআই ক্যাম্পাসে রয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী। অধিকাংশ শিক্ষক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দেশি-বিদেশি অভিজ্ঞ শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে ইউসিএসআই। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, বাংলাদেশে তারাই প্রথম দেশি-বিদেশি অভিজ্ঞ শিক্ষকবৃন্দের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং তারা বৈশ্বিক শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। এছাড়াও এসব শিক্ষকরা বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এবং শিল্পখাতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত। 

রয়েছে শতভাগ স্কলারশিপ সুযোগ!
এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ স্কলারশিপ সুবিধা প্রদান করছি। ব্যাচেলর প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি, এইচএসসি এবং ‘ও’ লেভেল ও ‘এ’ লেভেল ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে স্কলারশিপ দেওয়া হয়। মাস্টার্স প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাচেলর ডিগ্রির ফলাফল ও প্লেসমেন্ট টেস্টের ফলাফলের বিবেচনায় স্কলারশিপ প্রদান করা হয়। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে আমাদের ক্যাম্পাস ৫ কোটি টাকার বেশি স্কলারশিপ ও বিশেষ শিক্ষা সহায়তা প্রদান করেছে। চলতি শিক্ষাবর্ষেও থাকছে পর্যাপ্ত স্কলারশিপের সুযোগ। এছাড়াও, একই পরিবারের একাধিক সদস্য, গরীব কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্যও জন্য বিশেষ শিক্ষা সহায়তার সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ নৈপূণ্য প্রদর্শনকারীদের জন্য রয়েছে বিশেষ শিক্ষা সহায়তার ব্যবস্থা।

উজ্জ্বল ক্যারিয়ার ও উদ্যোক্তা হওয়ার হাতছানি
প্রতিষ্ঠান শীর্ষদের ভাষ্য, ইউসিএসআই শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক ডিগ্রি অর্জনের পর দেশি-বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানিগুলোতে চাকরির সুযোগ পাবেন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুযোগ পাবেন বাংলাদেশে-মালয়েশিয়ান মালিকানাধীন ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে। এছাড়াও, আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোতেও ক্যারিয়ার গড়ার অসাধারণ সুযোগ থাকবে বলে অভিমত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। তারা আরও জানান, ইউসিএসআইয়ের ডিগ্রি শুধু চাকরির সুযোগই তৈরি করবে না; পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিখাতে ব্যবসায়িক নেতৃত্ব গঠন ও উদ্যোক্তা হওয়ার পথও সুগম করবে। এছাড়াও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ডিজিটাল ইনোভেশনের কারিকুলামে ব্যবসা পরিচালনা, স্টার্টআপ ম্যানেজমেন্ট ও ইনোভেশন বিষয়ক শিক্ষা দেওয়া হয়; যা শিক্ষার্থীদের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে ও সফল উদ্যোক্তা হতে সহায়তা করবে। এজন্য গড়ে তোলা তোলা হয়েছে ইনকিউবেশন সেন্টার, ইন্ডাস্ট্রি কানেকশন ও মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম; যা আদতে শিক্ষার্থীদের চাকরির চেয়ে স্টার্টআপ শুরু করতেই বেশি অনুপ্রাণিত করে থাকে।


সর্বশেষ সংবাদ