‘ঈদে এমন অভিজ্ঞতা যেন কারও না হয়’

  © টিডিসি ফটো

বাবার অসুস্থতার জন্য এবার পরিবারের প্রায় সবাইকে হাসপাতালেই থাকতে হচ্ছে। অন্যান্য সময় গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে যাওয়ার তাড়া থাকলেও এবারের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাদের জন্য এটা প্রথমবার। ‘ঈদে এমন অভিজ্ঞতা যেন কারও না হয়। এটা সত্যিই দুর্বিষহ! বাবার শারীরিক অবস্থার উন্নতিই এখন আমাদের জন্য ঈদের আনন্দ বয়ে আনতে পারে।’ ক্লান্তি আর হতাশার ছাপ নিয়ে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাসিব মীর তার হৃদরোগে আক্রান্ত বাবার সাথে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে কাটানো ঈদের দিনের বর্ণনা দিচ্ছিলেন এভাবে। 

মুসলমানদের দুটি প্রধান উৎসবের একটি হল ঈদ উল ফিতর। একমাস রোজা রাখার পর এই দিনে মুসলিমরা মেতে উঠেন আনন্দে। যখন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া অন্যান্য শিক্ষার্থীরা নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই দিনটি উদযাপন করছে তখন নিজের কিংবা অসুস্থ প্রিয়জনের সুস্থতার মধ্যে ঈদকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন হাসিবের মতোই অনেক শিক্ষার্থী। 

তেমনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সজিবুল হাসানের একমাত্র ছোট ভাই পায়ের সমস্যা নিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। তারও ঈদের দিনটি কাটাতে হবে সেখানেই।  তিনি বলেন, এবার হাসপাতালেই কেটে যাবে ঈদ। আমার ছোট ভাই সুস্থ হয়ে যাক, সামনের বছর একসাথে ভালভাবে ঈদ উদযাপন করা যাবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলামের দাদা দীর্ঘদিন যাবৎ সিরাজগঞ্জের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ঈদে বাড়ি গেলেও সময় কাটাচ্ছেন দাদার সাথেই, হাসপাতালে। তিনি জানান, ছোটবেলা থেকে কোলেপিঠে করে মানুষ করেছেন আমাদেরকে। অনেকদিন পর বাড়িতে এসে যদি দেখি উনার এই অবস্থা, তাহলে তো আর বাড়িতে থাকা যায় না। দাদা গত ঈদেও আমাদের সাথে বাড়িতে ছিলেন, আমি চাই সামনেই ঈদেও আমরা একসাথে বাড়িতে করব। এবার এখানে থেকে উনার মুখের হাসিতেই ঈদ খুঁজছি।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence