নর্থ সাউথের সাবেক ট্রাস্টি কাশেমের কারামুক্তিতে বাধা নেই

নর্থ সাউথের সাবেক ট্রাস্টি কাশেমের কারামুক্তিতে বাধা নেই
নর্থ সাউথের সাবেক ট্রাস্টি কাশেমের কারামুক্তিতে বাধা নেই  © ফাইল ছবি

বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রাস্টি এম এ কাশেমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে দুদকের আবেদন খারিজ করে সোমবার (২৮ নভেম্বর) আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ।

এদিন আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে কাশেমের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মুরাদ রেজা ও মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ। আপিল বিভাগের এই আদেশের ফলে কাশেমের কারামুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তাঁর অন্যতম আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ। 

এর আগে গত ১০ নভেম্বর সাবেক ট্রাস্টি এম এ কাশেম ও রেহানা রহমানকে জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ নভেম্বর এম এ কাশেমের জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। তবে অপর সাবেক ট্রাস্টি রেহানা রহমানের জামিন বহাল রেখেছিলেন।

পাশাপাশি এম এ কাশেমের জামিন নিয়ে দুদকের আবেদন শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। সে অনুযায়ী আজ আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানি হয়।

হাইকোর্টের জামিনাদেশের পরে আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক জানিয়েছিলেন, দুটি শর্তে তাদের জামিন দিয়েছেন। এগুলো হলো-অনুমতি ছাড়া দেশের বাইরে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যেতে পারবেন না।

এর আগে পৃথক আবেদনে ২ আগস্ট তাদের কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। গত ২২ মে তাদের আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরদিন তাদের বিচারিক আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানো হয়। সেই থেকে তারা কারাবন্দি ছিলেন।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে, তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।

আসামিরা হলেন- তৎকালীন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান এবং আশালয় হাউজিং ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।

এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন-সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির দাম ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ