বিসিএস ক্যাডারের চাকরি ফিরে পাচ্ছেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৫, ০৭:১২ PM , আপডেট: ২১ জুন ২০২৫, ০২:০৬ PM
১৭ বছর পর দেশে ফিরে সরকারি চাকরিতে পুনর্বহাল হতে যাচ্ছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী এবং চিকিৎসক ডা. জোবাইদা রহমান। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পর দু-এক দিনের মধ্যেই তার চাকরিতে ফেরার আদেশ জারি করা হবে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব এ কে এম ফজলুল হক জানিয়েছেন, ৬ মে (মঙ্গলবার) দেশে ফিরেছেন ডা. জোবাইদা। এরইমধ্যে চাকরি পুনর্বহালের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে দ্রুতই চূড়ান্ত আদেশ দেওয়া হবে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করার পর তিনি যুক্তরাজ্যের ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন থেকে মেডিসিনে স্নাতকোত্তর (এমএসসি) ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৫ সালে বিসিএসে প্রথম স্থান অধিকার করে তিনি সরকারি চাকরিতে চিকিৎসক হিসেবে যোগ দেন। তবে ২০০৮ সালে শিক্ষা ছুটিতে যুক্তরাজ্যে গিয়েছিলেন তিনি। দেশে নির্ধারিত সময়মতো ফিরে না আসায় ২০১৩ সালে সার্ভিস রুল অনুযায়ী তার চাকরি বাতিল করা হয়।
দীর্ঘদিন যুক্তরাজ্যে অবস্থানের পর ডা. জোবাইদা গতকাল মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফেরেন। বর্তমানে তিনি থাকছেন তার বাবার ধানমন্ডির বাসভবন ‘মাহবুব ভবন’-এ। তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওই বাসায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
চিকিৎসক হিসেবে ক্যারিয়ারে সফলতার সঙ্গে যাত্রা শুরু করলেও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দীর্ঘ সময় পেশাগত জীবন থেকে দূরে ছিলেন ডা. জোবাইদা রহমান। এবার দেশে ফিরে আবারও সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থায় যুক্ত হতে যাচ্ছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বিধিমালা অনুযায়ী অসাধারণ ছুটির মেয়াদ পাঁচ বছরের বেশি হতে পারবে না। বিধিমালা ৯ (৩) অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা করলে যে কোনো ছুটি অনুমোদন করতে পারে। অন্যদিকে বিধিমালার অধ্যয়ন ছুটি-সংক্রান্ত এফ আর-৮৪ এর নিরীক্ষা নির্দেশনার (গ)তে বলা হয়েছে, এই প্রকার ছুটির মেয়াদ সাধারণভাবে ১২ মাস।
তবে বিশেষ কারণে সর্বোচ্চ ২৪ মাস পর্যন্ত মঞ্জুর করা যাবে। কোর্সের প্রয়োজনে অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হলে আরও ৪ মাস অর্জিত ছুটি এবং ৩২ মাস অসাধারণ ছুটি দেওয়া যাবে। অর্থাৎ, অধ্যয়নের প্রয়োজনে ৫ বছর ছুটি দেওয়া যেতে পারে। এর অতিরিক্ত অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে বিএসআর পার্ট-১ এর ৩৪ নম্বর বিধির আওতায় চাকরির অবসান হবে।