দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ প্রতিষ্ঠায় সমঝোতা স্মারক সই

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মানে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ প্রতিষ্ঠায় সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মানে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ প্রতিষ্ঠায় সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে  © সংগৃহীত

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বাংলাদেশ-ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মানে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ প্রতিষ্ঠায় সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

আজ সোমবার (১২ জুলাই) বিকেলে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর) মিলনায়তনে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন আইসিসিআর এর মহাপরিচালক দীনেশ কে পাটনায়েক এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক পি সি যোশি। 

সন্ধ্যায় দিল্লির বাংলাদেশ দূতাবাস ও ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন পৃথক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।

সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ ইমরান, আইসিসিআরের প্রেসিডেন্ট বিনয় শেহেশারবুদ্দি, বাংলাদেশ দূতাবাস ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনসের মহাপরিচালক দিনেশ কে পাটনায়েক ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর পিসি জোশি চুক্তিতে সই করেন। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা এ উপলক্ষে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন। এছাড়া ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বোয়ামী ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

অন্যদিকে ভারতীয় হাইকমিশনার জানায়, আইসিসিআর এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ প্রতিষ্ঠা করে অংশীদারিত্বের সাংস্কৃতিক সহযোগিতার ইতিহাসে একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে।

চলতি বছরে মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর এ সমঝোতার একটি ফলাফল এটি। এটি দুই দেশের মধ্যে একাডেমিক, শিল্প ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে বিনিময়কে আরও শক্তিশালী করবে।

আইসিসিআর মহাপরিচালক দীনেশ কে পাটনায়েক বলেন, আমরা অনেক কিছু করব। তবে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ দিয়ে শুরু করতে চেয়েছিলাম এবং বিশেষত এই বছর যখন আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০তম বার্ষিকী এবং জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি তখন বাংলাদেশের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কী হতে পারে?

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, আমি নিশ্চিত যে, গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবনটি জ্ঞান ভাগাভাগি এবং বোঝাপড়া ছাড়াও কাজের খাতিরে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অনেকগুলো মানুষের ভবিষ্যত সম্পর্কে উৎসাহ যোগাবে। আমি আশা করি, আমরা খুব শিগগিরই চেয়ারটি দেখভালের জন্য বিশিষ্টজনকে খুঁজে পাব।  

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর পিসি জোশী বলেন, এ প্রথম বঙ্গবন্ধু চেয়ারের হোস্ট করা একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তে। যিনি আমাদের সবার জন্য আদর্শ নায়ক ছিলেন এবং স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার প্রতীক ছিলেন।

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, আমরা খুব ভালোভাবেই আইসিসিআর এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করব, যাতে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সব পক্ষই সন্তুষ্ট থাকবে।


সর্বশেষ সংবাদ