চলতি বর্ষ থেকে ভারতের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে পরীক্ষা
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২২, ০৩:৩৬ PM , আপডেট: ২২ মার্চ ২০২২, ০৪:১২ PM
ভারতে ৪৫টি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও তার সঙ্গে যুক্ত সব কলেজে ভর্তি হতে গেলে এবার থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হবে। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে আর কলেজে ভর্তি হওয়া যাবে না। দেশটির নামী দামী অনেক কলেজই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন (ইউজিসি) এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
এই পরীক্ষার নাম দেয়া হয়েছে কমন ইউনিভার্সিটি এনট্রান্স টেস্ট। বাংলা, ইংরাজি, উর্দু, মারাঠি, হিন্দি সহ মোট ১৩টি ভাষায় এই পরীক্ষা দেয়া যাবে। আগামী এপ্রিল মাসে এই পরীক্ষা দেয়ার জন্য আবেদনপত্র ভরতে হবে। পরীক্ষা হবে জুলাই মাসে। ততক্ষণে সব বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়।
কেন এই সিদ্ধান্ত?
কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম হলো দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজগুলিতে প্রতিবছর ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে ছাত্রছাত্রীরা পড়তে আসে। গত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এসআরসিসি, এলএসআর, মিরান্ডা হাউস, সেন্ট স্টিফেন্স, হিন্দুর মতো কলেজগুলিতে অর্থনীতিসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে কাট অফ মার্কস রাখা হচ্ছে একশ শতাংশ। অর্থাৎ, একশ শতাংশ মার্কস না পেলে ওই কলেজে পড়ার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে না।
ইউজিসির চেয়ারপার্সন জগদেশ কুমার বলেছেন, দেশের কিছু প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের নামী কলেজে একশ শতাংশ নম্বর না পেলে ভর্তি হওয়া যাবে না, এটা মেনে নেয়া যায় না। প্রবেশিকা পরীক্ষায় সকলে সমান সুযোগ পাবেন। তারা নম্বর তোলার দিকে নয়, বিষয়টা জানার দিকে নজর দেবেন।
এই পরীক্ষা নেবে ন্যাশনাল টেস্টিং অথরিটি। কম্পিউটারের মাধ্যমে পরীক্ষা দিতে হবে। ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা, কলেজ শিক্ষকদের চাকরিতে যোগ্যতা অর্জনকারী নেট পরীক্ষা সব এখন তারাই নেয়।
আরও পড়ুন: জুনের মধ্যেই সম্পন্ন হবে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা
ইউজিসি সব রাজ্য সরকার ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজকে বলেছে, তারাও যেন এই পরীক্ষার ফল অনুসারেই তাদের কলেজগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করান।
সব কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়েই চালু
এই ব্যবস্থা সব কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হবে। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় যেমন মানবে, তেমনই আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়, জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কেও মানতে হবে বলে জগদেশ কুমার জানিয়েছেন।
তার দাবি, এর ফলে ছাত্রছাত্রীদের একটা পরীক্ষা দিলেই হবে। ফলে তারা অনেক বেশি স্বস্তিতে থাকবেন। তিনি বলেছেন, এই পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতেই কলেজে ভর্তি করতে হবে। তবে তার সঙ্গে বারো ক্লাসের পরীক্ষায় ন্যূনতম একটা নম্বর পাওয়ার বিষয়টি কলেজগুলি ঠিক করতে পারবে। তবে তা কখনোই একশ শতাংশ হবে না।
ইউজিসির চেয়ারপার্সন জানিয়েছেন, সংরক্ষণ নীতি আগের মতোই চালু থাকবে। শুধু আগের তুলনায় একটাই ফারাক হবে যে, তফসিলি জাতি, উপজাতি, অন্য অনগ্রসর শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদেরও প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়েই আসতে হবে। [সূত্র: ডয়চে ভেলে বাংলা]