গাজায় হামলার সময় ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ছিলেন জেলেনস্কি

জেলেনস্কির টুইট
জেলেনস্কির টুইট  © টিডিসি ফটো

রাশিয়ার সৈন্যরা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ঢুকে পড়েছেন। আজ শনিবার সকাল থেকে থেমে থেমে কিয়েভে বিস্ফোরণ, গোলাবর্ষণ ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর আসছে। রাশিয়ার ‘আগ্রাসী আচরণে’ নিজেদের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে ঘণ্টায় ঘণ্টায় টুইটারে ভিডিওবার্তা দিচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।

অথচ তিনিই গত বছর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি দখলদারদের চালানো বর্বরোচিত হামলাকে এড়িয়ে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পাল্টা জবাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। বলেছিলেন, ওই যুদ্ধে নাকি ইসরায়েলই ‘ভিকটিম’ (ভুক্তভোগী) ছিল।

দেশ ও সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে আজ বিদেশি মিত্রদের কাছে আকুতি জানালেও সেদিন ফিলিস্তিনিদের কান্না তার কানে পৌছায়নি। নির্বিচারে নারী-শিশু হত্যা চোখে পড়েনি জেলেনস্কির। উল্টো দখলদার ইসরাইলিদের পক্ষে সাফাই গেয়ে টুইট করেছিলেন তিনি।

জেলেনস্কি এক টুইটে বলেছিলেন, ইসরায়েলের আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রে ছেয়ে গেছে। কয়েকটি শহরে আগুন লেগেছে। অনেকে ভুক্তভোগী। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। অনেক ট্র্যাজেডি। শোক আর দুঃখ ছাড়া এসব দেখা অসম্ভব। জনজীবনের স্বার্থে অবিলম্বে এ উত্তেজনা বন্ধ করা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন: ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাবে আমেরিকা-ব্রিটেনসহ ২৮ দেশ

এদিকে গতকাল শুক্রবার থেকে গুঞ্জন উঠতে শুরু করে, জেলেনস্কি রাশিয়ার সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। এমন গুজব ওঠার পর আজ টুইটারে একটি ভিডিওতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এমন গুজব উড়িয়ে দিয়েছেন। টুইটারে পোস্ট হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কিয়েভের রাস্তায় সাদামাটা পোশাকে হাঁটছেন জেলেনস্কি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বাসভবন গরোদেৎস্কি হাউসের সামনের ওই ভিডিওতে জেলেনস্কিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, অনলাইনে অনেক ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে, আমি নাকি সেনাবাহিনীকে অস্ত্র সমর্পণের নির্দেশ দিয়েছি ও নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছি। কিন্তু আমি এখানেই আছি। আমরা অস্ত্র ছাড়ব না। দেশকে রক্ষা করব।

অন্যদিকে কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই ইউক্রেনের মেলিটপোল শহর দখলে নিয়েছে রাশিয়ার সেনারা। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সাংবাদিকদের আজ এমন কথা জানায়। খবর বিবিসির।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ইউক্রেনের আজভস্কয়ের জনবহুল এলাকার কাছে নামার পর স্থানীয় সময় ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রাশিয়ার সেনাদের একটি দল কোনো প্রতিরোধ ছাড়া মেলিটপোলে ঢোকে। শহরে টহলরত রুশ সেনাদের স্বাগত জানাচ্ছে বাসিন্দারা। প্রাপ্তবয়স্ক অনেকে লাল পতাকা নিয়ে রাস্তায় নামেন।


সর্বশেষ সংবাদ