ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐতিহ্যবাহী মসজিদ জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ

আংশিক পুড়ে যাওয়া আল–নাসর মসজিদ ঘুরে দেখছেন একজন ফিলিস্তিনি
আংশিক পুড়ে যাওয়া আল–নাসর মসজিদ ঘুরে দেখছেন একজন ফিলিস্তিনি  © এএফপি

অধিকৃত পশ্চিম তীরের নাবলুস শহরে ঐতিহাসিক একটি মসজিদ আংশিক জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইসরায়েলী বাহিনীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ করেছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা। তারা বলেন, গতকাল শুক্রবার (৭ মার্চ) অভিযান চালানোর সময় ইসরায়েলি সেনারা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। খবর আল জাজিরার।

অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি ঘটেছে নাবলুসের ওল্ড সিটির ঐতিহ্যবাহী আল–নাসর মসজিদে। এএফপি টিভিতে এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হলে সেখানে দেখা যায়, আংশিক পুড়ে যাওয়া মসজিদের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আগুনে ইমামের কক্ষ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং মসজিদের দেয়াল ও কার্পেট ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 
তারা বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনারা নাবলুসে অভিযান চালান। 

স্থানীয় ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ছয়টি মসজিদ ঘিরে অভিযান চালানো হয়। এমন এক সময় এ মসজিদে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হলো, যখন মুসলিমরা পবিত্র রমজান মাসের প্রথম শুক্রবার পালন করলেন।

পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলীয় ওই শহরে অভিযানের বিষয়ে জানতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এএফপি। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

আল–নাসর মসজিদ আংশিক পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে নাবলুস পৌর কর্তৃপক্ষ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটি একটি ঐতিহাসিক মসজিদ হিসেবে বিবেচিত। ওল্ড সিটির গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক জায়গা এটি। নাবলুসের পৌর মেয়র হুসাম শাখশির অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী অগ্নিনির্বাপণ কর্মীদের ওই মসজিদে যেতে বাধা দিয়েছে। এ কারণে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেননি।

ফিলিস্তিনের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ও ইসরাইলি বাহিনীর মসজিদে এই অগ্নিসংযোগের তীব্র নিন্দা জানায়। তারা এক বিবৃতিতে জানায়, আজ ভোরে ইসরাইলি বাহিনী পুরোনো শহরের বাব আল-সাহা এলাকায় অবস্থিত আল-নাসর মসজিদে হামলা চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং নাবলুস পৌরসভার দমকল বাহিনীকে আগুন নেভাতে বাধা দেয়। ফলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটে। 

উল্লেখ্য, ঐতিহাসিক আল-নাসর মসজিদ নাবলুসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্য নিদর্শন। এটি মূলত রোমান যুগে একটি গির্জা ছিল, যেটি ১১৮৭ সালে মসজিদে রূপান্তরিত হয়।


সর্বশেষ সংবাদ