গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পুনর্গঠনে প্রয়োজন ১০ বিলিয়ন ডলার: ডব্লিউএইচও

ভেঙে পড়েছে গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা।
ভেঙে পড়েছে গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা।  © সংগৃহীত

আগামী পাঁচ থেকে সাত বছরে গাজার বিধ্বস্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনর্গঠনে কমপক্ষে ১০ বিলিয়ন ডলার বা আরো বেশি অর্থের প্রয়োজন হতে পারে, এমনটা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাথমিক হিসেবে এমন তথ্য উঠে এসেছে। আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায় এফপি। 

ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রিক পিপারকর্ন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনর্গঠন করতে অনেক বড় অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন হতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘গাজার শুধুমাত্র স্বাস্থ্য খাত পুনর্গঠনের জন্য তার দলের প্রাথমিক অনুমান হলো প্রথম দেড় বছরের জন্য ৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি এবং তারপর পাঁচ থেকে সাত বছরের জন্য ১০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে।’

পিপারকর্ন আরও বলেছেন, ‘আমরা সবাই ভালো করে জানি যে গাজার ধ্বংসযজ্ঞ অকল্পনীয়। আমি আমার জীবনে বিশ্বের অন্য কোথাও এমন পরিস্থিতি দেখিনি।’

গাজায় যুদ্ধাবস্থার কারণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে স্থাপনাগুলো। এমনকি হামলা থেকে রক্ষা পায়নি হাসপাতালগুলোও। 

ডব্লিওএইচও প্রধান তেদ্রস আধানম গেব্রিয়াসাস জানান, ‘গাজার ৯০ শতাংশ হাসপাতাল ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে।’

যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে গাজায় ১৫ মাস ধরে চলা সহিংসতার অবসান ঘটতে চলেছে। তিন ধাপের এই চুক্তি গাজায় যুদ্ধবিরতি, সেখান থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের মুক্তি অন্তর্ভুক্ত। আগামী রবিবার থেকে কার্যকর হবে এটি।

গেব্রিয়াসিস এই চুক্তিকে ‘সেরা খবর’ উল্লেখ করে বলেন, এই চুক্তি ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সম্পর্কের ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটাবে।

তিনি বলেছেন, আসুন আমরা সবাই এই খবরকে অত্যন্ত স্বস্তির সাথে স্বাগত জানাই। কিন্তু দুঃখও আছে যে, চুক্তিটি এতো দেরিতে হতে যাচ্ছে যখন সংঘর্ষে হাজার হাজার লোক প্রাণ হারিয়েছেন। মধ্যস্থতাকারীরা যদিও বলেছেন, চুক্তিটি ১৯ জানুয়ারি রবিবার থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ