চলতি বছর বিশ্বে বিক্রিত প্রতি পাঁচটি গাড়ির একটি হবে বিদ্যুৎচালিত

বিদ্যুৎচালিত গাড়ি
বিদ্যুৎচালিত গাড়ি  © সংগৃহীত

২০২৩ সালে বিক্রি হওয়া বিশ্বের প্রতি পাঁচটি গাড়ির একটি হবে বিদ্যুৎচালিত। এই ধরনের গাড়ির চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ার পর নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে।

গত বুধবার প্যারিস-ভিত্তিক আন্তঃ-সরকারী সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ)’ জানিয়েছে, গত বছর প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক-ভাবে বিদ্যুৎচালিত গাড়ি বা ‘ইভি’র বিক্রি এক কোটির লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শ করেছে। অনুমান বলছে, ২০২৩ সালে এই সংখ্যা আরও ৩৫ শতাংশ বাড়তে পারে।

২০২২ সালে বিদ্যুৎচালিত গাড়ি বিক্রির ৬০ শতাংশই এসেছে চীন থেকে। আর এখন বিশ্বের সকল ইভি’র অর্ধেকই এই দেশে রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ সংবাদপত্র ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

আইইএ’র নির্বাহী পরিচালক ফেইথ বিরল বলছেন, নতুন বৈশ্বিক অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বিদ্যুৎচালিত যানবাহন, যা ক্রমাগত বাড়ছে। আর এগুলো বৈশ্বিক গাড়ি উৎপাদন শিল্পেও ঐতিহাসিক পরিবর্তন বয়ে আনছে।

তিনি বলেন, আমরা যেসব প্রবণতা লক্ষ্য করছি, তার সঙ্গে বৈশ্বিক তেলের চাহিদার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। প্রচলিত জীবাস্ম-জ্বালানীভিত্তিক ইঞ্জিন শতাব্দীর বেশি সময় ধরে অপ্রতিদ্বন্দ্বী হলেও বিদ্যুৎচালিত যানবাহন সে পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে। গাড়ি কেবল এই খাতের প্রথম ঢেউ; সামনের দিকে বিদ্যুৎচালিত বাস এমনকি ট্রাকও আসবে।

আইইএ’র অনুমান বলছে, বিদ্যুৎচালিত গাড়ির মালিকানা বৃদ্ধি প্রতিদিন অন্তত ৫০ লাখ ব্যারেল তেলের চাহিদা কমিয়ে দেবে। পূর্বাভাস বলছে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে বিদ্যুৎচালিত গাড়ির উৎপাদন খরচ তেলে চলা যানবাহনের তুলনায় কমে আসবে।

আর আইইএ’র ‘এনার্জি টেকনোলজি পলিসি’ বিভাগের প্রধান টিমার গুয়েল মনে করেন, তাদের বর্তমান লক্ষ্যমাত্রা, ২০২০’র দশকের মাঝামাঝি সময়ে উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের বাজারে যেন বিভিন্ন ছোট ও মাঝারি আকারের বিদ্যুৎচালিত গাড়িতে দামের সমতা রয়েছে। এসইউভি ও পিকআপ গাড়ির মতো তুলনামূলক বড় যানবাহনের বেলায়, ওই সমতা আসতে আরও দেরি হতে পারে বলে জানান তিনি। তার মতে, সেটা হতে পারে ২০৩০’র দশকে।

আগামী কয়েক বছরে গাড়ি চার্জ করার সময় ‘আল্ট্রা ফাস্ট’ করা, ব্যাটারির ঘনত্ব বাড়ানো ও উন্নত কার্যকারিতা দেখানোর মতো অন্যান্য অগ্রগতিও বাস্তবায়িত হতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট।


সর্বশেষ সংবাদ