নারী শিক্ষার্থীদের ছাড়াই আফগানিস্তানে খুলেছে বিশ্ববিদ্যালয়

নারী শিক্ষার্থীদের ছাড়াই আফগানিস্তানে খুলেছে বিশ্ববিদ্যালয়
নারী শিক্ষার্থীদের ছাড়াই আফগানিস্তানে খুলেছে বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

শীতের ছুটি শেষে পুনরায় খুলেছে আফগানিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। দেশটির ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে ক্লাসে ফিরতে পারছেন না নারী শিক্ষার্থীরা। গত বছরের শেষ দিয়ে তালেবান প্রশাসনের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

কম্পিউটার সাইন্সে চতুর্থ বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থী বিবিসিকে জানিয়েছেন, আমার পরিকল্পনা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শেষ করে আমি আমার মাস্টার্স করব, তারপর পিএইচডি। আমি আমার দেশ, জাতি ও মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছিলাম। আমি এখন আর সেটা করতে পারব না। তিনি জানিয়েছেন, মাত্র কয়েক মাস আগেও তিনি এবং তার বন্ধুরা মিলে কিভাবে গ্রাজুয়েশনের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করবেন তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

এমন বেশ কয়েকজন নারী শিক্ষার্থী বিবিসি-কে জানিয়েছেন, ফেলে আসা খুশি ও আশায় পূর্ণ সময়ের কথা মনে করে এখন তারা শুধু কাঁদেন আর তাদের ভাই ও কাজিনদের পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া চেয়ে চেয়ে দেখেন।

কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের একজন নারী শিক্ষার্থী বিবিসিকে বলেন, যদি তারা আমাদের হিজাব পরতে বলে তবে আমরা খুশি মনেই তা মেনে নেব। যদি আমাদের আলাদা ক্লাস করতে বলা হয়, আমরা খুশি মনে সেটাও মেনে নেব। শুধু তাদের শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ চান তিনি।

শুধু উচ্চশিক্ষার অধিকার নয়, তালেবান পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর দেশটির নারীদের কাজ করার অধিকারসহ আরও অনেক অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ করছে। আফগানিস্তানে মেয়েদের মাধ্যমিক স্কুলগুলো আরও আগেই বন্ধ করে দেয় তালেবান সরকার।

অবশ্য তালেবান প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার দাবি, তাদের এ ব্যবস্থা অস্থায়ী। তাদের কেউ কেউ কারণ ব্যাখ্যায় কঠোর পোশাক বিধি, তহবিলের অভাব বা ইসলামিক ধারায় পাঠ্যক্রম ঠিক করাসহ অনেক রকম কথা জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকারকে উৎখাত করে পুনরায় আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসে তালেবান। তখন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারী ও পুরুষ শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আলাদা বসার নিয়ম জারি হয়।


সর্বশেষ সংবাদ