২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা: মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনা!

লেখক মো. ফিরোজ আলম
লেখক মো. ফিরোজ আলম   © টিডিসি ফটো

সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলা, গোপালগঞ্জে তুষার হত্যাকাণ্ড এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মী হত্যা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ একুশে আগস্ট ২০০৪ সালে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ ও গণমিছিল আয়োজন করে। এই সভা পূর্বেই মুক্ত মঞ্চে করার জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল। সরকারের পক্ষ থেকে সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। কিন্তু কোনো ঘোষণা না দিয়ে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুমতি ছাড়াই হঠাৎ সভার স্থান পরিবর্তন করা হয়। সভা শুরু হয় ৩ ঘটিকায়। শেখ হাসিনা উপস্থিত হন ৫ ঘটিকায় এবং এসেই ট্রাকে উঠেন। ট্রাকে তার সঙ্গে ছিলেন জিল্লুর রহমান, আমির হোসেন আমু, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল জলিল, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্লাহ, মোহাম্মদ হানিফ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াসহ নেতাকর্মী। ট্রাকের পাশেই নিচে ছিলেন ওবায়দুল কাদের, সাবের হোসেন চৌধুরী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

শেখ হাসিনা বক্তব্য শুরু করেন ৫.০২ মিনিটে এবং শেষ করে ৫.২২ মিনিটে। বক্তব্য শেষে মাইক থেকে সরে যাওয়ার পরপরই দক্ষিণ দিক থেকে কে বা কারা একটি গ্রেনেড ছুঁড়ে মারে। গ্রেনেড ট্রাকের বা পাশে পড়ে বিস্ফোরণ ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই শেখ হাসিনা ট্রাকের উপর বসে পড়েন। এ সময় মানববর্মের মতো চারদিক থেকে তাঁকে ঘিরে ফেলে। প্রথম গ্রেনেড হামলার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আরও দুটি গ্রেনেড ছোড়ে। এ সময় শেখ হাসিনার দেহরক্ষী পুলিশরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ অবস্থায় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াসহ দেহরক্ষীরা শেখ হাসিনাকে ধরে ট্রাক থেকে নামিয়ে তার মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়িতে তুলে দেন। স্টেডিয়ামের দিক হয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়।

আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের হামলা!

বিস্ফোরণের প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা রাস্তায় যানবাহনের উপর হামলা করছিলেন। বৃষ্টির মতো ইট পাটকেল ছুঁড়ে ভাঙচুর করা হয় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের সিটি ভবন সহ আশেপাশের আরো কয়েকটি ভবনের জানালা দরজা। বাস, মিনি বাস, গাড়ি যার সামনে যা পায় তাই ভাঙতে থাকেন নেতাকর্মীরা। ২০-২৫টি যানবহনে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

দলীয় কার্যালয়ের সামনে পেট্রল পাম্পের গলির মাথায় পড়ে আছে দুটি অবিস্ফোরিত গ্রেনেড। অবিস্ফোরিত গ্রেনেড ছিলো শক্তিশালী এবং দেশে দুষ্প্রাপ্য যা ‘অ্যান্টি পারসোনাল গ্রেনেড’ নামে পরিচিত। গুলিস্তানে উদ্ধারকৃত গ্রেনেডের একটির গায়ে লেখা ছিল (SP HGR/HE/ GREN ARGES 84 )। আরজেস হলো অষ্ট্রিয়ার গ্রেনেড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত নাম। উদ্ধারকৃত গ্রেনেড এর লট নম্বর ছিলো ১১০৭০০৫। 

প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহানুভূতি এবং তাঁকে সুধা সদনে প্রবেশের অনুমতি না দেয়া!

গ্রেনেড হামলার ঘটনায় সহানুভূতি জানাতে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিরোধী দলীয় নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সাদনে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। কিন্তু বিরোধী দলীয় নেত্রীর রাজনৈতিক সচিব সারা দেননি। পরবর্তীতে শেখ হাসিনা অনুমতি না দেয়ায় খালেদা জিয়া সুধাসদনে যেতে পারেন নি। (সূত্র: প্রথম আলো, ২৩ আগস্ট ২০০৪)

শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার বৈঠক আহ্বান যোগ দিলেন না কেন? গ্রেনেড হামলার তদন্ত ভার সিআইডিতে!

এই হামলায় মামলা করা হলে একদিন পরই ডিবি থেকে সিআইডিতে  তদন্ত ভার দেয়া হয়। সিআইডি দল ঘটনার সময় ধারণকৃত ৩টি ভিডিও ক্যাসেট, ও সমাবেশে ব্যবহৃত ট্রাক থেকে কিছু আলামত সংগ্রহ করে মঙ্গলবার। তারা শেখ হাসিনার গাড়িটি দেখতে যায়। ডিবির তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ইন্সপেক্টর সামসুল আলম। সিআইডিতে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুর রশিদকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়। সিআইডি দল প্রত্যক্ষদর্শী ৩২ জনের সঙ্গে কথা বলে ২২ জনের জবানবন্দি রেকর্ড করে। তবে কেউ হামলাকারীদের তেমন কোনো বর্ননা দিতে পারেন নি। সুধা সদনে গিয়ে শেখ হাসিনার গাড়ি পরীক্ষা করে ১৩টি গুলি এবং ২৬ টি স্প্লিন্টারের চিহ্ন দেখতে পান। এ সময় এনএসআই, ডিজিএফআই, র‌্যাব ও এস.বির সদস্যরা ছিলো। (সূত্র: ২৫ আগষ্ট ২০০৪, প্রথম আলো)

সঠিক তদন্তের জন্য তদন্ত কমিশন গঠন! 

গ্রেনেড হামলার ঘটনার সঠিক তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয় যার প্রধান ছিলেন বিচারপতি জয়নুল আবেদীন। তিনি বলেন, বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা এবং ঘটনার দিন তার সঙ্গে থাকা আওয়ামী লীগের অন্য নেতাকর্মীরা যদি সহযোগিতা না করেন তবে সুষ্ঠ তদন্ত সম্ভব হবে না। এই তদন্ত কমিশনের সফলতা নির্ভর করছে সবার সহযোগিতার উপর।

তিনি আরো বলেন, সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার জানা দরকার, হামলার পর শেখ হাসিনা তার নিজস্ব গাড়ি নাকি অন্য কোনো গাড়িতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন? শেখ হাসিনার গাড়ি লক্ষ্য করে আদৌ গুলি ছোড়া হয়েছে কিনা এবং হয়ে থাকলে তা কোন স্থানে হয়েছে? ঘটনাস্থলে নাকি পথে অন্য কোথাও? এই গ্রেনেট কোথা থেকে এসেছে কার কাছে এসেছে কিভাবে এটা নিক্ষেপ করা হলো এসব বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা ভালো পরামর্শ দিতে পারবেন। সাংবাদিক ও ফটোসাংবাদিকের স্বাক্ষর গুরুত্বপূর্ণ।

কমিশন প্রধান আরও বলেন, কেউ (বিএনপি/আওয়ামী লীগ) যদি মনে করেন এই কমিশন দিয়ে তদন্ত নিরপেক্ষভাবে সম্ভব নয়, তাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে দিয়ে কমিশন গঠন করা হোক। নিরপেক্ষ তদন্ত করে মূল হোতাদের শনাক্ত করা হোক ।

আওয়ামী লীগ অথবা শেখ হাসিনা যদি মনে করতো এই তদন্ত কমিশন সঠিকভাবে তদন্ত করবে না তাহলে তখনই আপত্তি কিংবা বিবৃতি দিলেন না কেন?

শেখ হাসিনা ব্যবহৃত ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটি রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ২৭ আগস্ট বিকেলে শেখ হাসিনার এপিএস আলাউদ্দিন নাসিম এর কাছে কুরিয়ার সার্ভিসে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সচিব সাবের হোসেন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন শেখ হাসিনার বুলেট প্রুফ গাড়িটি দেয়া যাবে না। (সূত্র: ২৮ আগস্ট ২০০৪, প্রথম আলো)

শেখ গাড়িটি রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য দিলেন না কেন?

খালেদা জিয়া বলেন, আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি এই বোমা হামলা যে বা যারা ঘটিয়েছে তারা দেশ ও গণতন্ত্রের শত্রু । কিন্তু তাদের খুঁজে বের করতে হলে অবশ্যই আওয়ামী লীগের সর্বাধিক সহযোগিতা প্রয়োজন । এজন্য প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান । দুই নেত্রীর বৈঠকে বসলে অনেক কিছুর ইতিবাচক সমাধান আসবে। সংসদে আসন্ন অধিবেশনে সরকারি দল গ্রেনেড হামলা ঘটনা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা চাইবে। সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে এ আলোচনা সরাসরি বেতার, টিভিতে সম্প্রচার করা হতে পারে (সূত্র: ২৮ আগস্ট ২০০৪, প্রথম আলো) হত্যা মামলা নিয়ে আলোচনা নয় কেন এবং আলোচনা চাইলেন না কেন?

সুষ্ঠ তদন্তের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ইন্টারপোলের সহায়তা!

গ্রেনেড হামলার ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তে বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ইন্টারপোলের সহায়তা চেয়ে আবেদন জানানো হয় এর পরিপ্রেক্ষিতে ইন্টারপোলের দুজন কর্মকর্তা বাংলাদেশে আসেন । তারা হলেন যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক সন্ত্রাস বিষয়ক বিশেষজ্ঞ জেকুলিন পালাম ও অস্ট্রেলিয়ার জন নিরাপত্তা ও সন্ত্রাস বিশেষজ্ঞ জিপরি ইলস।

ইন্টারপোলের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য আর বিশ্লেষণ পর্যালোচনা চালিয়ে তারা রহস্য উদঘাটনের একটি সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন। বিশেষ করে ইন্টারপোলের সহায়তায় তাদের বিশেষণ যতই গভীরে যাচ্ছে আগস্টের ঘটনার সঙ্গে চলতি বছর সিলেটে হযরত শাহজালাল এর মাজার, কয়েকটি সিনেমা হল ও গুলশান হোটেল চত্বরে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় তত বেশি সাদৃশ্য রয়েছে । এসব হামলার পেছনে ইসলামী জঙ্গি চক্রের জড়িত থাকার সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। 

শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ইন্টারপোলের তদন্ত কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করলেন না কেন?

ঢাকার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ছেলে মেয়র সাঈদ খোকন একটা চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন যে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিষয়ে তাঁর বাবা তাঁকে (খোকনকে) জানিয়েছেন, একটা আক্রমণ হতে পারে, একটা ঘটনা ঘটতে পারে। তুমি গিয়ে নেত্রীকে (শেখ হাসিনাকে) জানাও। সে অনুযায়ী সাঈদ খোকন নেত্রীকে জানিয়ে বলেছেন, আপনাকে সাবধান হতে হবে। কারণ আপনার বাসায়, বা যাতায়াতের পথে আক্রমণ হতে পারে।’

সাঈদ খোকনের ভাষ্যমতে, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রীকে এ ধরনের তথ্য নিয়ে অবহিত করার পরও, সবকিছু শোনার পরেও এ বিষয়ে তিনি খুব একটা সজাগ হননি, সিরিয়াস হননি। সিরিয়াস না হয়ে বরং বলেছেন, রাজনীতি করলে এত ভয় পেলে চলবে না।’

সাঈদ খোকন বলেন, বিষয়টিকে নেত্রী কোনো ধরনের আমলে নেননি, পাত্তা দেননি। এটা আমাদের কাছে একটা বড় প্রশ্ন যে তিনি বিষয়টিকে আমলে নিলেন না কেন?’
 
সকল কেন এর উত্তর পাওয়া যায় প্রকৃত তথ্য ও উপাত্তের সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করলে!

৩০ এপ্রিল তারিখ নির্ধারণী সরকার পতন আন্দোলনের ব্যর্থতার পর আওয়ামী লীগের হাতে রাজনৈতিক কিছু না থাকায় ঝিমিয়ে পড়ছিলেন। অন্যদিকে বিএনপি কর্মীদের অবস্থা ভালো ছিল। গ্রেনেড হামলায় প্রাণ গেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের, আক্রান্ত হয়েছে আওয়ামী লীগ এই দুঃখজনক বাস্তবতার পাশাপাশি আবার রাজনৈতিক লাভবানও হয়েছে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ। এমতাবস্থায় আলোচিত গ্রেনেড হামলায় রাতারাতি পাল্টে যায় রাজনৈতিক চলচ্চিত্র । যারাই হামলা ঘটিয়ে থাক না কেন সেসব বিচার না করেই রাতারাতি সমগ্র গণসহানুভূতি এসে পড়ে আওয়ামী লীগের উপর। দেশের সব নাগরিক ছাড়াও বিশ্বের সকলপ্রান্ত থেকে সমবেদনা আসে শেখ হাসিনার জন্য। এ পরিবেশ তৈরি হওয়ায় সারাদেশে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মন চাঙ্গা করে যার প্রতিবাদে হরতাল আর মিশিয়ে রাজনৈতিক পরিবেশ করে তোলেন উত্তপ্ত।

বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করাই হামলাকারীদের লক্ষ্য হিসেবে যদি কোন বিশ্লেষক দেখাতে চান তবে তাকে এই হামলাকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে প্রমাণ করতে হবে। না হলে ঐ বছরের সবগুলো হামলা এক সূত্রে গাঁথা মানলে বিএনপি নেতা খুলনার মেয়র, ট্রাফিক পুলিশ বা ব্রিটিশ হাইকমিশনারের উপর গ্রেনেড হামলার যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ এদের উপর হামলাগুলো নিশ্চয়ই আওয়ামী লীগের ক্ষতির জন্য করা হয়নি।

এরকম হত্যাকাণ্ড যে তিনি আগেও ঘটিয়েছেন তার প্রমাণ হিসেবে দেখা যায় শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান রেন্টুর লেখা ‘আমার ফাঁসি চাই’ বইয়ে। প্রত্যক্ষ চোখে দেখে এবং ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থেকে পরবর্তীতে বর্ণনা করেছেন তৎকালীন স্বৈরশাসক এরশাদকে চাপে ফেলতে শেখ হাসিনা কীভাবে পুলিশ অফিসারকে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের মিছিলের উপর গুলি করে হত্যা করেছেন! এটা সহজেই অনুমেয় যে এই গ্রেনেড হামলার আসল মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনা নিজেই!

লেখক: সাবেক গণসংযোগ সম্পাদক, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ ও এমফিল গবেষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়


সর্বশেষ সংবাদ