দুই শিশুকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, ৩ কনস্টেবল প্রত্যাহার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২২, ০৩:১৪ PM , আপডেট: ২২ আগস্ট ২০২২, ০৩:১৪ PM
চট্টগ্রামে চুরির অভিযোগে দুই শিশুকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তিন পুলিশ কনস্টেবল হলেন- মো. মেহেদী, মো. মাজহার ও মো. এহসান। তারা নগর পুলিশের মনসুরাবাদ লাইনে থাকেন।
রোববার (২১ আগস্ট) তাদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এর আগে গত শুক্রবার দুপুরে নগরের খুলশী থানার লালখান বাজার এলাকায় দুই শিশুকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর ও চুল কেটে দেওয়ার এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
ঘটনার শিকার দুই শিশু লালখান বাজার মতিঝর্ণা এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকে। তাদের একজন স্থানীয় একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। তার বাবা একটি কারখানায় নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। আরেক শিশু কিছু করে না।
স্থানীয় লোকজন জানান, শুক্রবার (১৯ আগস্ট) তাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে কে বা কারা পাথর ছুঁড়ে মারে। এ ছাড়া ম্যাজিস্ট্রেট কলোনি, মতিঝর্ণাসহ আশপাশের এলাকায় প্রায়ই ছোটখাটো চুরির ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিন তিন শিশু লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ব্রিজের নিচে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। তখন টহল পুলিশ সদস্যদের কাছে খবর যায়, এই শিশুরা সেখানে প্রায়ই চুরি করে থাকে। পরে পুলিশ সদস্যরা তাদের ধাওয়া দিলে একজন পালিয়ে যায়। সেখান থেকে পুলিশ সদস্যরা দুজনকে ধরে পাশের জিলাপির পাহাড়ে নিয়ে যান। পরে একটি লোহার খুঁটির সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। সেখানে একজনের মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানুষ দরিদ্র থাকবে সেটা আমি চাই না : প্রধানমন্ত্রী
ঘটনার শিকার এক শিশুর মা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার ছেলে কোনো দিন চুরি করেনি। চুরি করেছে বলে পুলিশ আমার ছেলেকে নির্যাতন করেছে। মাথার চুলও কেটে দিয়েছে। ঘটনার পর থেকে ছেলে ভয়ে বাসায় থাকছে না।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ঘটনার দিন আমি ছুটিতে ছিলাম। পরে এসে জানতে পারি। দুই কিশোরকে টহল পুলিশের সদস্যরা ধরলেও স্থানীয় থানা পুলিশকে কিছুই জানাননি। তাদের উচিত ছিল থানা পুলিশকে জানানো।
এ বিষয়ে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে তিন পুলিশ কনস্টেবলকে পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।