ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে সুখবর দিলো বাণিজ্য মন্ত্রনালয়

বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ
বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ  © সংগৃহীত

বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমে আসায় শিগগিরই বাংলাদেশেও তেলের দাম কমবে।

রোববার (২৬ জুন) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) দ্বাদশ মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, তবে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ভোজ্যতেলের দাম কতটা কমবে, সেটি স্পষ্ট নয়।

বাণিজ্যসচিব বলেন, তেলের দামের ক্ষেত্রে আগামী দুই একদিনের মধ্যে একটা সুখবর আসতে পারে। আশা করছি, তেলের দাম কমবে। এখন সেই হিসাব-নিকাশ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ট্যারিফ কমিশন তেল রিফাইনারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করে আমাদের জানাবে। তারপর আমরা জানাতে পারবো, কত টাকা কমবে। তবে বলা যায় যে, তেলের দাম কমবে।

আরও পড়ুন: জাবিতে ‘রাতারাতি’ রেজিস্ট্রার নিয়োগের চেষ্টা 

‘আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিনের দাম কমে গেছে। এই তেল প্যারাগুয়ে, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা থেকে আমাদের দেশে আসে। সেখান থেকে তেল আসতে কমপক্ষে ৪৫ থেকে ৬০ দিন লেগে যায়। এখানে সময়ের একটি গ্যাপ রয়েছে। তাই চাইলেও দেশের বাজারে তাৎক্ষণিক দাম কমানো যায় না।’

‘তবে সুখবর হলো ইন্দোনেশিয়া থেকে এখন কিছু তেল আসে। সেখান থেকেও আসতে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে, আবার ডলারের দামও বেড়েছে। সেটাও মাথায় রাখতে হবে। এই দুটি বিষয় সমন্বয় করে দাম নির্ধারণ করা হবে।’

‘তেলের দাম কমলেও সবাই জানবেন, বাড়লেও জানবেন। সরকারিভাবে আমরা দাম বাড়ানো বা কমানোর ক্ষেত্রে একই ফর্মুলা ব্যবহার করি। অনেক সময় সরকার বাড়ানোর আগেই খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয়। সেজন্যই ভোক্তা অধিকার ও জেলা প্রশাসন কাজ করেন। বিক্রেতারা কোথায় দাম বেশি নেন, সেটা তারা দেখেন।’

তেলের দাম বাড়ানোর সময় ব্যবসায়ীদের যে তোড়জোড় দেখা যায় কমানোর সময় সেটি থাকে কী না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিক্রেতা সবসময় বেশি দাম দিয়ে বিক্রি করতে চায়, আর ক্রেতা কম দামে কিনতে চায়। এর জন্য এ ধরনের আচরণ দেখা যায়। আর সেজন্যই সরকার হস্তক্ষেপ করে। যেকোনো পণ্যের যোগান ও সরবরাহ দিয়ে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ হয়। আর এটাই স্বাভাবিক নিয়ম।


সর্বশেষ সংবাদ