দেশের ৪ জেলায় জনশুমারির সময় বৃদ্ধি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২২ জুন ২০২২, ১০:২৩ AM , আপডেট: ২২ জুন ২০২২, ১০:৪১ AM
সারাদেশে গত ১৫ জুন একযোগে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম। কিন্তু দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যার কারণে ৪ জেলায় জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম ৭ দিন বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার এসব জেলা বাদে সারাদেশে শুমারি কার্যক্রম শতভাগ শেষ হয়েছে। এই চার জেলা হলো- সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার ও নেত্রকোণা। আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকলে সময় বেড়ে ১০ দিনও হতে পারে।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিনের সভাপতিত্বে বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ প্রকল্পের পরিচালক দিলদার হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এক বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বন্যার পানিতে ডুবে স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু।
এ বিষয়ে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন গণমাধ্যমকে বলেন, বন্যার কারণে অনেক জায়গায় কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। সেই জন্য বন্যা দুর্গত এলাকায় জনশুমারির মেয়াদ আরও ৭ দিন বাড়ানো হয়েছে।
জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) দিলদার হোসেন জানান, অন্য জেলা থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে তাঁরা সন্তুষ্ট। তবে চারটি জেলা বন্যাকবলিত হওয়ায় সেখান থেকে কাঙ্ক্ষিত তথ্য মেলেনি। তাছাড়া বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন থাকায় ট্যাবে (ট্যাবলেট কম্পিউটার) চার্জ নেই। এসব দিক বিবেচনা করে বন্যা আক্রান্ত চারটি জেলায় শুমারির সময় আরও সাত দিন বাড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, সারাদেশে ১৫ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত একযোগে শুরু হয় জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম। বিবিএসের তথ্য বলছে, দেশ স্বাধীনের পর এখন পর্যন্ত পাঁচটি আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম আদমশুমারি হয় ১৯৭৪ সালে। এরপর ১৯৮১ সালে দ্বিতীয়, ১৯৯১ সালে তৃতীয়, ২০০১ সালে চতুর্থ ও ২০১১ সালে পঞ্চম আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয়।
২০১৩ সালে পরিসংখ্যান আইনের মাধ্যমে আদমশুমারি শব্দটিকে পরিবর্তন করে জনশুমারি করা হয়। আগের প্রতিটি শুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল জানুয়ারি থেকে মার্চ এ সময়ে। জরিপ কিংবা শুমারি পরিচালনার জন্য এ তিন মাস সময় বেছে নেওয়া হয়। কিন্তু এবারই প্রথম বর্ষাকালে জনশুমারি হতে যাচ্ছে।