সুসম্পর্ক বজায় রেখে রায়হানকে সাহায্য করবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২০, ০৯:১৯ PM , আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২০, ০৯:১৯ PM
মালয়েশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই দেশটিতে গ্রেফতার রায়হান কবিরকে সরকার সাহায্য করবে বলে আশ্বস্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। আজ সোমবার রেল মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ আশ্বাস দেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই দেশটিতে গ্রেফতার রায়হান কবিরকে সাহায্য করবে সরকার। তিনি বলেন, আমরা চাই না আমাদের কোনো প্রবাসী কোথাও সমস্যায় পড়ুক।
আবদুল মোমেন বলেন, আমরা দেখবো আমাদের এই ইয়াংম্যানের (রায়হান কবিরের) কোনো অসুবিধা যেনো না হয় এবং দুই দেশের সম্পর্কও ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
এদিকে মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি তরুণ রায়হান কবিরের মুক্তির জন্য আইনি লড়াইয়ে নামার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির ২ জন আইনজীবী। তবে তারা পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আজ সোমবার দুপুর ২টায় তার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েও অনুমতি পাননি। তাদেরকে দেশটির ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘পরে তারা দেখা করার জন্য তারিখ দেবেন’।
এর আগে শনিবার দেশটির ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক খাইরুল ডিজাইমি দাউদ এক বিবৃতিতে বলেন, ২৫ বছর বয়সী রায়হান কবিরকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যাতে আর কখনো তিনি মালয়েশিয়ায় ফিরতে না পারেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি প্রবাসীদের সঙ্গে মালয়েশিয়ার পুলিশ দুর্ব্যবহার করছে, এমন অভিযোগ করে আলজাজিরা টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেওয়ায় রায়হান কবিরের বিরুদ্ধে এসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে’।
এ বিবৃতির পরেই রায়হান কবিরকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ। দেশটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমির হামজা জয়নুদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, তদন্তের সার্থেই রায়হানকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৩ জুলাই আল জাজিরার ইংরেজি অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ‘লকডআপ ইন মালয়েশিয়ান লকডাউন-১০১ ইস্ট’ শীর্ষক একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে মালয়েশিয়ায় থাকা প্রবাসী শ্রমিকদের প্রতি লকডাউন চলাকালে দেশটির সরকারের নিপীড়নমূলক আচরণ উঠে আসে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, রায়হান কবির নামের এক বাংলাদেশি এই নিপীড়নের প্রতিবাদ করেছেন।
প্রসঙ্গত, ৩ জুলাই তার বিরুদ্ধে মামলা করে মালয়েশিয়ান সরকার। পরে ৭ জুলাই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় এবং ১৫ জুলাই বাতিল করা তার ভিসা। এরপর গত শুক্রবার কুয়ালালামপুরের একটি কনডোমিনিয়ামে থেকে রায়হান কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।