‘হাইব্রিড’ ও ‘রিয়েল’ বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৮ PM , আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৪:১৫ PM
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ‘হাইব্রিড’ ও ‘রিয়েল’ বিএনপি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে ভৈরব পৌর শহরের চন্ডিবের উত্তরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে কয়েকটি ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর হয়।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজন ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন এবং গুরুতর আহত দুজনকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ‘হাইব্রিড’ ও ‘রিয়েল’ বিএনপি নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব এই সংঘর্ষের মূল কারণ। যারা আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে পুনরায় বিএনপিতে ফিরেছেন, তাদের ‘হাইব্রিড’ বলা হয়। অন্যদিকে, দুঃসময়ে দলটিতে থাকা নেতাকর্মীদের ‘রিয়েল’ বিএনপি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এদিন দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন এক নেতাকে দেখতে গেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। তাকে ফুল দেওয়ার সময় দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা বাঁধে। পরবর্তী সময়ে এক পক্ষ ‘হাইব্রিড’ এবং অপর পক্ষ ‘রিয়েল বিএনপি’ বলে স্লোগান দেয়।
এদিকে, বেলা ১২টার দিকে ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আকবর মিয়ার ছেলে সফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে এক পক্ষ এবং যুবদলের অপর নেতা আক্তার মিয়ার নেতৃত্বে অন্য পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষ লাঠিসোঁটা নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলতে থাকে।
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ভৈরব উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামও সংঘর্ষ থামাতে চেষ্টা করেন।
যুবদল নেতা আক্তার মিয়া বলেন, সফিকুল ইসলাম ও তার পক্ষের লোকজন এতদিন আওয়ামী লীগে ছিলেন। পটপরিবর্তনের পর এখন তারা নিজেদের খাঁটি বিএনপি দাবি করছেন। এলাকার লোকজন তাদের হাইব্রিড বলে।
অপরদিকে, সফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা আগে থেকেই বিএনপির রাজনীতি করছিলাম। এখন কেউ আমাদের ‘হাইব্রিড’ বলে ছোট করার সুযোগ পাবে না।
ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহিন মিয়া বলেন, কে হাইব্রিড আর কে রিয়েল বিএনপি, তা নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। তবে পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। কাউকে আটকও করা হয়নি।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রেজিনা পারভীন বলেন, সংঘর্ষে আহত পাঁচজন এখানে চিকিৎসা নিয়েছেন। গুরুতর আহত দুজনকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।