পুলিশের মারধরে অটোচালকের মৃত্যুর অভিযোগ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৭ PM , আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩১ PM
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পুলিশের মারধরে ইয়াসিন মিয়া (৪০) নামে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় কটিয়াদী উপজেলার ফেকামারা গ্রামে এ ঘটনা হয়। তবে পুলিশ বলছে, গ্রামের এক মাদক কারবারির বাড়িতে অভিযানের সময় সেখানে ছিলেন ইয়াসিন। দৌঁড়ে পালানোর সময় তিনি অচেতন হয়ে যান। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ইয়াসিনের বাড়ি নরসিংদী সদরে। তার পরিবারের সদস্যরা জানান, তিনি কয়েক বছর ধরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ফেকামারা গ্রামে থাকেন। চালাতেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা। গত সোমবার সন্ধ্যায় গ্রামে লিটন মিয়া নামে একজনের বাড়িতে থাকা অবস্থায় সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। ওই সময় সবাই পালিয়ে গেলেও ইয়াসিন পারেননি। পরে ঘটনাস্থলেই পুলিশ তাকে বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই ইয়াসিনের মৃত্যু হয়েছে।
ইয়াসিনের স্ত্রী আমেন খাতুন জানান, তিনি প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে শুনেছেন, তার স্বামীকে সবার সামনেই মারধর করে পুলিশ। একপর্যায়ে তার মৃত্যু হয়। লিটন গ্রামের চিহ্নিত মাদক কারবারি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তার বাড়িতে ইয়াসির কেন যেতে পারেন জানতে চাইলে আমেনা বলেন, আমরা একই গ্রামে থাকি। হয়ত আগে থেকে পরিচিত ছিল। তবে কেন ওই বাড়িতে গেছে তা নিশ্চিত জানি না।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফজ্জেল হোসেন মঙ্গলবার বলেন, লিটন ওই এলাকায় চিহ্নিত মাদক কারবারি। তার বাড়িতে মাদকের বড় একটি চালান রয়েছে বলে তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। এজন্য অভিযান চালায় পুলিশ। তাদের দেখে পালানোর সময় ইয়াসিন অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
ইয়াসিনকে পুলিশ নির্যাতন করেছে বলে শোনেননি দাবি করে তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। কেউ নির্যাতন করে থাকলে ছাড় দেওয়া হবে না।