তিন লাখ কোটা থাকলেও ভারত থেকে চাল আমদানি হয়েছে তিন হাজার মেট্রিক টন

ভারত থেকে আমদানি করা চাল
ভারত থেকে আমদানি করা চাল  © সংগৃহীত

সম্প্রতি গত ৩১ অক্টোবর চালের মজুত বাড়ানোর পাশাপাশি দাম সহনীয় রাখতে দ্রুততম সময়ে চাল আমদানির উদ্যোগ নেয় সরকার। সরকারি পর্যায়ে আমদানির পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়েও চাল আমদানি উৎসাহিত করা হয়। এ জন্য চাল আমদানিতে শুল্ক পুরোপুরি তুলে নেয় হয় সরকার। এ ব্যাপারে গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

সরকারের শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদানের পর ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়। তবে শুল্ককর প্রত্যাহারের সরকারি ঘোষণার পরও গত ২৫ দিনে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে মাত্র ৩ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। এ সময়ে ৩ লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হলেও পুরো কোটা পূরণ হয়নি। দুবছর পর ১৭ নভেম্বর চাল আমদানি শুরু হয়, যা শেষ হয়েছে গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর)।

এ পসঙ্গে বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আবু তাহের গণমাধ্যমকে জানান, ১৭ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৯৭টি ট্রাকে তিন হাজার ৩২০ মেট্রিক টন চাল এসেছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ৯২টি প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং ১ লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়।

এদিকে সময় স্বল্পতার কারণে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চাল আমদানি করতে পারেনি। সরকার ২৫ দিনের মধ্যে আমদানিকৃত চাল বাজারজাত করার সময়সীমা নির্ধারণ করেছিল, যা গত বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। আবু তাহের জানান, মাহবুবুল আলম ফুড প্রডাক্ট, অর্ক ট্রেডিং এবং সর্দার এন্টারপ্রাইজসহ ৮টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বেনাপোল বন্দর দিয়ে এসব চাল আমদানি করেছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ জানান, ২০২৩ সালের ২০ জুলাই থেকে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির বাইরে সিদ্ধ ও আতপ চাল রপ্তানি বন্ধ হয়। এর আগে ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে এ বন্দর দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ ছিল। সে সময় আমদানি নিরুৎসাহিত করতে চালের ওপর ৬২ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল সরকার। তবে শুল্ককর প্রত্যাহারের ফলে গত ১৭ নভেম্বর থেকে চাল আমদানি পুনরায় শুরু হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ