বিএনপি ও যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় বিএনপি ও যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় বিএনপি ও যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ  © সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় বিএনপি ও যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের স্থানীয় অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডি এম দুলাল ও উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব নূর আলমের পক্ষের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে ১২ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ছয়জনকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামুন মিয়া ও সবুজ মিয়া নামের দুজনকে জেলা সদরের দুটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা ‘তরুণ দল’–এর কমিটি গঠনের কথা ছিল। এ উপলক্ষে উপজেলা সদরের সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম মিলনায়তনে কর্মিসভা হয়। উপজেলা বিএনপির আংশিক কমিটির সভাপতি আনিছুল ইসলাম ঠাকুরের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা তরুণ দলের সভাপতি আজিজুল রহমান। নূর আলমের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব এস এন তরুণ দে, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লস্কর, সাংগঠনিক সম্পাদক ডি এম দুলাল, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান প্রমুখ। কর্মিসভা শেষে কমিটি ঘোষণা করা হয়নি।

কর্মিসভা শেষে স্থানীয় অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মোড়ে আজিজুলের সামনে তর্কে জড়িয়ে পড়েন দুলাল ও নূর আলম। কিছুক্ষণের মধ্যে উভয় পক্ষের লোকজন দা, বল্লম ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। কিছুক্ষণের মধ্যে সংঘর্ষ সরাইল বৈকার বাজারের আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে দোকান বন্ধ হয়ে যায়। ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নারী-পুরুষ দিগ্‌বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। আধা ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে। 

বিএনপি ও যুবদলের একাধিক বলেন, সরাইল উপজেলায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের মধ্যে একাধিক গ্রুপ রয়েছে। তবে এত দিন দুলাল ও নূর আলম একই পক্ষের লোক ছিলেন। কয়েক দিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল।

নূর আলম বলেন, ‘দুলাল তার ভাইকে তরুণ দলের সম্পাদক বানাতে চান। কিন্তু তার ভাই করে ছাত্র সমাজ। এ নিয়ে তার সঙ্গে আমার কথা–কাটাকাটি হয়। পরে দুলালের লোকজন বাজারে এসে হুমকি–ধমকি দিচ্ছিলেন। আমার লোকজন তাদের একাধিবার ধাওয়া দিয়ে বাজার ছাড়া করেছে। বিষয়টি আমার দলীয় লোকজন শেষ করার চেষ্টা করছেন।’

উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনিছুল ইসলাম ঠাকুর বলেন, ‘এখানে যা হয়েছে, তা কর্মিসভার সঙ্গে যুক্ত কোনো বিষয় নয়। এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা।’


সর্বশেষ সংবাদ