নির্বাচন কমিশনের অধীনেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র

নির্বাচন কমিশন
নির্বাচন কমিশন  © সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সেবা। একটি পৃথক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এর কার্যক্রম পরিচালনা হতে পারে। এ ছাড়া আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী ভোটারদের পাশাপাশি অনুপস্থিত ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে সুপারিশ করবে নির্বাচন সংস্কার কমিশন। এতে কারাগারে থাকা কয়েদিরাও যেন ভোট দিতে পারে সেই সুপারিশও থাকবে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার করতে কমিশন গঠন করে। অক্টোবর থেকে শুরু হয় কমিশনের কার্যক্রম। পেরিয়ে গেছে এক মাস। এরই মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা ও আইন নিয়ে কাজ করছে কমিশন।

নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত ভোটার, প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটার, সরকারি চাকরিজীবী, যিনি চাকরি সূত্রে নিজ এলাকার বাইরে বসবাস করেন ও কারাবন্দিদের ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে। তবে সেটি জটিল হওয়ায় অনেকে ভোট দেন না। তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত ও সহজ করতে কাজ করছে সংস্কার কমিশন। তবে এটি সহজ নয়, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সময় লাগবে।

আরও পড়ুন: ৫ লাখের বেশি মানুষের একাধিক এনআইডি, দিয়েছেন পায়ের আঙুলের ছাপও

বদিউল আলম মজুমদার আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন ও নাগরিক সমাজ থেকে বিরোধিতা করা হলেও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের হাতে ন্যস্ত করতে বিগত সরকার একতরফা এ-সংক্রান্ত আইন সংশোধন করে। এনআইডি ইসির অধীনে রাখার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সংস্কারে গঠিত কমিশন থেকে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করা হবে। 

নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতে জোর দিচ্ছে সংস্কার কমিশন। এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান কমিশন প্রধান।


সর্বশেষ সংবাদ