দেশবাসীকে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান মির্জা ফখরুলের

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  © ফাইল ছবি

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর গতকাল সোমবার ছাত্রলীগের হামলাকে দেশের ‘রাজনীতির ইতিহাসে জঘন্যতম ঘটনা’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শিক্ষার্থীদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সারা দেশের মানুষকে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো উচিত বলেও মনে করেন তিনি। সব রাজনৈতিক দলকেও শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মশিউর রহমান যাদু মিয়ার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে ছাত্রলীগের হামলার পর গতকাল রাত ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা সারা দেশের মানুষকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: সারাদেশে নিহত ৬

শিক্ষার্থীরা যে আহ্বান জানিয়েছেন, তা সময়োচিত ও যৌক্তিক বলে মনে করেন মির্জা ফখরুল। জাতীয় প্রেসক্লাবে আজকের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। শিক্ষার্থীরা যে আহ্বান জানিয়েছেন, আমি মনে করি সারা দেশের মানুষের সেই আহ্বানে সাড়া দেওয়া উচিত। সব রাজনৈতিক দলেরও তাঁদের পাশে এসে দাঁড়ানো উচিত।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ দেশের মানুষ জেগে উঠছে। বিশ্বাস করি, জনগণ তাদের অধিকার আদায় করে নেবে। এই সরকার গতকাল যা ঘটিয়েছে, তা বাংলাদেশে আমরা আগে কখনো দেখিনি। হাসপাতালের মধ্যে গিয়ে সরকারি দলের লোকজন ছাত্রদের ওপর আক্রমণ করেছে। এটা আমরা কখনো চিন্তাও করতে পারি না।

গোটা শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল শুধু আন্দোলন নয়, সন্তানদের ওপর অন্যায়ভাবে, অযৌক্তিকভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। কী ভয়াবহ আক্রমণ। শুধু ঢাকায় নয়, সারা দেশে হয়েছে।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি ন্যায়সংগত ও যৌক্তিক বলে মনে করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীই কোটা বাতিল করেছিলেন। তিনি বলেন, কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে নস্যাৎ করে দেওয়ার জন্য আপনারা (সরকারি দলের নেতা-কর্মী) তাঁদের ওপর অস্ত্রশস্ত্র হাতে নিয়ে বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছেন। কী ভয়াবহ নির্যাতন করে আজকে আপনারা তাঁদের দমন করার চেষ্টা করছেন।

এ আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান (মান্না), রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু, বিএনপি নেতা নূর মুহাম্মদ খান প্রমুখ। সভার সভাপতিত্ব করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম। সভায় সভাপতিত্ব করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্যসচিব আবু ইউসুফ।

 

সর্বশেষ সংবাদ