‘বাংলা ব্লকেড’-এ মেট্রোরেলে যাত্রী বেড়েছে ২০ শতাংশ

মেট্রোরেলে যাত্রী বেড়েছে ২০ শতাংশ
মেট্রোরেলে যাত্রী বেড়েছে ২০ শতাংশ  © টিডিসি ফটো

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঘোষিত এক দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের চলছে শিক্ষার্থীদের দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি ‘বাংলা ব্লকেড’। অবরোধে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক বন্ধ থাকায় মেট্রোরেলে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। এমনকি যাত্রীর চাপ সামলাতে কয়েকটি স্টেশনের গেইট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতেও হয়েছে।

বুধবার (১০ জুলাই) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এম এ এন সিদ্দিক বলেন, সাধারণত আমরা প্রতিদিন প্রায় তিন লাখ যাত্রী পরিবহন করি কিন্তু গত কয়েক দিনে প্রতিদিন সাড়ে ৩ লাখ থেকে ৩ লাখ ৬০ হাজার যাত্রী মেট্রোতে চলাচল করেছে। মতিঝিল, সচিবালয়, কারওয়ান বাজার ও উত্তরা উত্তর স্টেশনে সবচেয়ে বেশি যাত্রী ছিল।

গেট বন্ধ রাখার বিষয়ে তিনি জানান, প্রথম তলায় যাত্রী অবস্থান করার একটি নির্দিষ্ট ক্ষমতা আছে। ভিড় বেশি হয়ে গেলে সাময়িকভাবে ওই স্টেশনগুলো বন্ধ রাখতে হয়েছে। যখন যাত্রীরা প্ল্যাটফর্মে চলে যায় এবং প্রথম তলা কিছুটা ফাঁকা হয় তখন গেট খুলে দিয়ে যাত্রীদের প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়।

এর আগে গত ৭ জুলাই (রবিবার) থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে এই অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দুদিন অর্ধদিবস অবরোধ চলার পর গতকাল মঙ্গলবার বিরতি দেওয়া হয়।

কোটা সংস্কার দাবিতে চলমান কর্মসূচির আওতায় আজ তৃতীয় দিনের মতো পালিত হয় বাংলা ব্লকেড। আজ সকাল ১০টা থেকে ব্লকেড পালন করেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে গত রবিবার বিকেলে ৩টা এবং সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে ৫-৬ ঘণ্টা করে বাংলা ব্লকেড পালন করা হয়।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৮ সালে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা কোটাহীন মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র অর্জন করেছি। কিন্তু গত ৫ জুন আমাদের সেই পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। তারপর থেকে আমরা আমাদের অধিকার ফিরে পেতে আমরা আন্দোলন করছি। আমাদের কর্মসূচিকে অনেকে জনদুর্ভোগের কারণ বলে উল্লেখ করেছে। কিন্তু আমাদের এই আন্দোলন সবার অধিকার আদায়ের আন্দোলন।

জানা যায়, আজ সকাল ১০টায় শাহবাগসহ ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবরোধ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ফলে রাজধানীর প্রায় সব এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিকেল ৫টার দিকে সব জায়গা থেকে অবরোধ তুলে শাহবাগে জমায়েত হন শিক্ষার্থীরা। পরে সন্ধ্যায় নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এরপর শাহবাগ ছেড়েছেন আন্দোলনকারীরা।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence