ভুল চিকিৎসায় বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৪, ০৫:০৬ PM , আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৪, ০৫:১৬ PM
রাজীব আহমেদ নামে বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী ও স্থপতির ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ওষুধের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় ওই স্থপতির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি তার পরিবারের সদস্য ও স্থপতিদের।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে ‘ভুল চিকিৎসায়’ স্থপতি রাজীব আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে পরিবার ও স্থপতিদের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়। রাজীব আহমেদ দুই কন্যা সন্তানের জনক। তাদের একজনের বয়স ৮ বছর এবং অপরজনের এক বছর চার মাস। তার স্ত্রী সারাওয়াত ইকবালও একজন স্থপতি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, স্থপতি রাজীব আহমেদ, বুয়েট ২০০৩ ব্যাচের সদস্য ও রুফ লাইনার স্টুডিও অব আর্কিটেকচারের অন্যতম প্রধান স্থপতি। তিনি গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। রাজীবের মৃত্যুতে তার পরিবার বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সাথে তার প্রেসক্রিপশন ও হাসপাতালের রেকর্ড নিয়ে কয়েক দফা আলোচনায় বসেছে। এতে তার চিকিৎসায় ভুল চিকিৎসার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, গত দেড় বছর ধরে রাজীব চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এম ইউ কবীর চৌধুরীর অধীনে চিকিৎসাধীন ছিল। নতুন ওষুধ সেবন শুরুর করার ৯ দিনের মাথায় প্রচণ্ড পেটব্যথা নিয়ে রাজীব ডা. কবীর চৌধুরীর নির্দেশে শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু সেখানে অবস্থা খারাপের দিকে যাওয়ায় এক দিন পর তাকে স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। শমরিতায় শিরাপথে দুইটি অ্যান্টিবায়োটিক এবং স্কয়ারে আটটি অ্যান্টিবায়োটিকসহ সর্বমোট ১০টি অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয়।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলে (বিএমডিসি) অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। এর সাথে একত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট দ্রুত সময়ের মধ্যে সঠিক বিচারের দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।
হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ করে পরিবার জানায়, উভয় হাসপাতালেই চিকিৎসা চলাকালীন অব্যবস্থাপনা ছিল। বিশেষত শমরিতায় লিভার এনজাইমগুলোর মাত্রা অনেক বেশি থাকার পরও তারা লিভার ফেইলিউরের ডায়াগনোসিসকে আড়াল করে অন্য ডায়াগনসিস উল্লেখ করে। স্কয়ার হাসপাতালে শুক্রবার রোগীর অবস্থার অবনতি হওয়ার পরেও কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিদর্শনে আসেননি, বা কোনো সুনির্দিষ্ট ডায়াগনসিস না করে কালক্ষেপণ করা হয়।
রাজিবের বোন অভিযাগ করে বলেন, আইসিইউতে নেয়ার পর তাকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের মেডিকেল বিশেষজ্ঞরা ‘নট ফিট টু ফ্লাই’ ঘোষণা করে। এই কালক্ষেপণ, সঠিক ও সময়োচিত ব্রিফিংয়ের অভাব রাজীবকে পয়েন্ট অব নো রিটার্নে নিয়ে যায়! সময় মতো চিকিৎসকরা রাজীবের অসুস্থতার তীব্রতা সম্পর্কে অবহিত করলে আমরা তাকে দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করাতে পারতাম। কারণ আমাদের দেশে লিভার ডায়ালাইসিসের কোনো সুবিধা নেই।