উচ্চ লাফে সারাদেশের মধ্যে তৃতীয় ভোলার শিক্ষার্থী নাজমুন নাহার

নাজমুন নাহার
নাজমুন নাহার  © টিডিসি ফটো

উচ্চ লাফে অংশনিয়ে সারাদেশের মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে ভোলার লালমোহন উপজেলার শিক্ষার্থী নাজমুন নাহার। সে উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের রহিমপুর গ্রামের মো. ইয়াছিনের মেয়ে। উচ্চ লাফে তৃতীয় হওয়ায় নাজমুন নাহারকে দেওয়া হয় পুরস্কর ও সনদপত্র।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে এসব নিয়ে ঢাকা থেকে নিজ গ্রামে ফিরে সে। শিক্ষার্থী নাজমুন নাহারের এ অর্জনের জন্য খুশি তার পরিবারের সদস্য ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং সহপাঠীরা জানায়, ২০২২ সালের জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় লালমোহন উপজেলার উত্তর চরভূতা রহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থী নাজমুন নাহার। তখন সে ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে সারাদেশের কয়েকশ প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় শিক্ষার্থী নাজমুন নাহার। ওই প্রতিযোগিতায় সে উচ্চ লাফে সারাদেশের মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করে।

গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানী ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিশু ও মহিলা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি। অন্যান্য বিজয়ীদের ন্যায় তিনি শিক্ষার্থী নাজমুন নাহারের অর্জনের জন্যও স্বীকৃতি স্বরূপ তার হাতে পুরস্কার এবং সনদপত্র তুলে দেন।

শিক্ষার্থী নাজমুন নাহার জানায়, এ অর্জনের জন্য আমি খুশি। এ জন্য আমাকে সব সময় আমার মা- বাবা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সহযোগিতা করেছেন। আমি আরো ভালো কিছু করতে চাই। যার জন্য সকলের দোয়া কামনা করছি। 

উত্তর চরভূতা রহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোশারেফ হোসেন বলেন, খেলাধুলার প্রতি শিক্ষার্থী নাজমুন নাহারের প্রবল আগ্রহ রয়েছে। যার জন্য তাকে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য পাঠাতাম।সে সব সময় নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে ভালো কিছু করার চেষ্টা করতো। যার জন্যই ২০২২ সালের জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় উচ্চ লাফে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম হয়ে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে । সেখানে সে সারাদেশের কয়েকশত প্রতিযোগীর মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করে।  

শিক্ষার্থী নাজমুন নাহারের বাবা মো . ইয়াছিন জানান, পারিবারিকভাবে আমরা ততটা সচ্ছল না। তবুও আমার মেয়ের এ অর্জনের জন্য আমাদের পরিবারের সকলেই খুশি। আমার মেয়েকে সব সময় তার বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সাহস ও মানসিকভাবে সাপোর্ট দিয়েছেন। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি চাই, আমার মেয়ে আরো ভালো কিছু করুক, যার মাধ্যমে পুরো দেশের সুনাম হবে। এ জন্য সরকারি সহযোগিতা পেলে অনেক ভালো হবে।

উত্তর চরভূতা রহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মো . রুহুল আমিন বলেন, বিদ্যালয়কে শিক্ষা ও ক্রীড়া বান্ধব করে গড়ে তুলতে সকল শিক্ষকদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। বিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষক তাদের ছাত্র- ছাত্রীর প্রতি অনেক আন্তরিক।শিক্ষকদের আন্তরিকতার জন্যই ওই বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী একটি প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। আমি তার সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করছি।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence