টানা চার বছর ধরে বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় পুলিশের এসআই

মো. কামরুজ্জামান
মো. কামরুজ্জামান

বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানী ও গবেষকদের নিয়ে বার্ষিক তালিকা প্রকাশ করেছে বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং প্রস্তুতকারী সংস্থা আলপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স। তালিকায় বাংলাদেশের ২০১টি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের ১০ হাজার ৩৩ জন বিজ্ঞানী এবং গবেষক স্থান করে নিয়েছেন। 

বিশ্বসেরা গবেষকদের নিয়ে প্রকাশিত এই তালিকায় আবারও স্থান পেয়েছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী এবং বাংলাদেশ পুলিশের উপপরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান। বর্তমানে তিনি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) কর্মরত রয়েছেন।

তালিকায় স্থান পাওয়া মাভাবিপ্রবির ১১৯ গবেষকের মধ্যে ৭ম স্থানে এবং বাংলাদেশে ৭০৫তম স্থানে রয়েছেন এসআই কামরুজ্জামান। এছাড়া ল অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ ক্যাটাগরির ক্রিমিনোলজি, ভিকটিমোলজি ও এ সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ম, বাংলাদেশে ২য়, এশিয়ায় ১১৭ এবং বিশ্বে ২ হাজার ৫১তম স্থানে রয়েছেন।

এ বিষয়ে তিনি তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, একজন অপরাধবিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে এ সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি দীর্ঘ ৮ বছর ধরে গবেষণা করে আসছেন। ২০১৯ সাল থেকে পুলিশের উপপরিদর্শক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেও তিনি তার গবেষণা কার্যক্রম চলমান রেখেছেন। আগামীতেও দেশের অপরাধের ধরণ ও কারণ অনুসন্ধান, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, পুলিশের সার্বিক সংস্কার ও আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে এ সকল গবেষণা তিনি চলমান রাখবেন।

২০২১ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স প্রকাশিত বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন কামরুজ্জামান। ২০২১ সালের পর থেকে প্রতি বছরই মাভাবিপ্রবির গবেষকদের মধ্যে সেরা দশে স্থান পেয়েছেন মাভাবিপ্রবির সাবেক এই শিক্ষার্থী। এছাড়া বিষয়ভিত্তিক ক্যাটাগরিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ও দেশে প্রথমসারিতে স্থান পেয়ে আসছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্সের ২০২৪ সালে প্রকাশিত তালিকায় বিশ্বের ২১৯টি দেশের ২২ হাজার ৭৬৭টি বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মোট ১৪ লাখ ৪৩ হাজার ৯৩ জন বিজ্ঞানী ও গবেষক স্থান পেয়েছেন। 

এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স সূত্রে জানা যায়, সারাবিশ্বে গবেষণাপত্রের কার্যকারিতা মূল্যায়নের মাধ্যমে ‘এইচ’ এবং ‘আই-১০’ সূচকে তারা এ তালিকা তৈরি করে। এ পদ্ধতির উদ্ভাবক দুই গবেষকের (অধ্যাপক মুরত আলপার এবং চিহান ডজার) দাবি, বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী-গবেষক-অধ্যাপকদের কাজ এবং তাদের শেষ ৬ বছরের কাজের তথ্য বিশ্লেষণের পর তা এইচ-ইনডেক্স, আইটেন-ইনডেক্স স্কোর এবং সাইটেশনের ওপর ভিত্তি করে এ তালিকা প্রকাশিত হয়। এতে নিজ নিজ গবেষণার বিষয় অনুযায়ী গবেষকদের বিশ্ববিদ্যালয়, নিজ দেশ, মহাদেশীয় অঞ্চল ও বিশ্বে নিজেদের অবস্থান জানা যায়।

তাছাড়া সূচকটিতে গবেষকদের বিশ্লেষণ ও বিষয়গুলো নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে গণ্য করা হয়। কৃষি ও বনায়ন, কলা, নকশা ও স্থাপত্য, ব্যবসায় ও ব্যবস্থাপনা, অর্থনীতি, শিক্ষা, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, ইতিহাস দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব, আইন, চিকিৎসা, প্রকৃতিবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞানসহ মোট ১২টি ক্যাটাগরিতে প্রতি বছর এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। 


সর্বশেষ সংবাদ