‘শিক্ষকদের আমন্ত্রণে’ নৌকার প্রচারণায় বিদ্যালয়ের ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৫২ AM , আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৫৭ AM
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ফেনী-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাজারীর নির্বাচনি প্রচারণায় স্কুল শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলার ধর্মপুর আমিন উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের তিন শতাধিক শিক্ষার্থীকে নির্বাচনি প্রচারণায় নিয়ে আসেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নূর উদ্দিন জাহাঙ্গীর।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। ধর্মপুর ইউনিয়নের আমিন উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে সকালে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নেন নিজাম উদ্দিন হাজারী।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জাহাঙ্গীর বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষার্থীদের নির্বাচনি কাজে ব্যবহার করেছেন। তিনি স্কুল শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রচারণায় ডেকে নিয়েছিলেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর টেলিফোনে বলেন, এখন বিদ্যালয় বন্ধ। শিক্ষার্থীদের অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই। প্রচারণায় যারা অংশ নিয়েছেন সবাই আমার নাতি-নাতনী এবং আত্নীয়-স্বজন। তারা দলকে ভালোবেসে এসেছিলেন।’
তিন শতাধিক শিক্ষার্থী আপনার আত্মীয়স্বজন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নির্বাচনি প্রচারণায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি ভিত্তিহীন। আমাদের পরিবারের সঙ্গে সংসদ সদস্যের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে এজন্য তারা এসেছে। এটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার। এরপরই ফোন কেটে দেন জাহাঙ্গীর।
প্রচারণায় অংশ নেওয়া দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী বিবি আয়েশা আক্তার সূবর্ণা বলেন, ‘আমাদের ক্লাসে ১০০-এর মতো শিক্ষার্থী আছে। এরমধ্যে মেয়ে অল্প কয়েকজন আসলেও ছেলেরা সবাই এসেছে। আমাদের স্যাররা আসতে বলেছেন সেজন্য বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও আমরা এসেছি।’
শিক্ষার্থী মিতা নূর রুপা বলেন, ‘আমাদের এখানে সুন্দর অনুষ্ঠান হচ্ছে সেজন্য নিজাম হাজারীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিতে এসেছি। পথসভায় আমরা স্যার ও বিদ্যালয়ের সভাপতির সঙ্গে এসেছি।’
এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
ফেনী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, ‘নির্বাচনে শিশুদের ব্যবহার আচরণবিধির লঙ্ঘন। এ বিষয়ে প্রার্থীদের আগেই অবগত করা হয়েছিল। নির্বাচনি প্রচারণায় শিশুদের ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তা নির্বাচনি মনিটরিং টিম খতিয়ে দেখবে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।