ম্যাগসেসে পুরস্কার নিলেন জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাকসান্দ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ১১:০২ AM , আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ১১:১৬ AM
সম্প্রতি রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কারে ভূষিত হন জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাকসান্দ। ইমার্জেন্ট লিডারশিপ ক্যাটাগরিতে তাকে এ পুরস্কারটি দেয়া হয়েছে। ফিলিপাইনে গিয়ে পুরস্কারটি গ্রহণ করেছেন করভি রাকসান্দ। গত শনিবার ম্যানিলার মেট্রোপলিটন থিয়েটারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ বছর বিভিন্ন বিভাগে চারজনকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের করভি রাকসান্দসহ আরও রয়েছেন- ভারতের রবি কান্নান আর. ফিলিপাইনের মিরিয়াম করোনেল-ফেরার এবং পূর্ব তিমুরের ইগুয়েনিও লেমোস। গত ৩১ আগস্ট পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়। এ তালিকায় রাকসান্দ স্থান করে নেন সামাজিক এবং স্থিথিশীল উন্নয়নে অবদানের জন্য।
করভি রাকসান্দের হাতে পুরস্কারটি তুলে দেন চেয়ারম্যান তৃতীয় অরেলিও আর. মন্টিনোলা এবং সিনেটর রামোন বি ম্যাগসেসে, জুনিয়র। বক্তব্য দেন ২০০২ সালের রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কারপ্রাপ্ত দক্ষিণ কোরিয়ার দ্য ভেনারেবল পমনিয়ান সুনিম। আরও উপস্থিত ছিলেন ফিলিপাইনের ফার্স্ট লেডি খ্যাত লিজা অ্যারানেতা-মার্কোস।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাগো ফাউন্ডেশনের দূরদর্শী নেতৃত্বে সামাজিক পরিবর্তনে উদ্যোগী ভূমিকা রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার পেলেন করভি রাকসান্দ। জাগো ফাউন্ডেশন স্কুল এবং ভলেন্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি) প্রোগ্রামটি তাঁরই অধীনে পরিচালিত হয়।
আরো পড়ুন: আটকে আছে মাধ্যমিকের ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির অর্থ
ভলেন্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি) সংগঠনে বর্তমানে ৫০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচির জন্য উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। অন্যদিকে জাগো ফাউন্ডেশন স্কুল শিক্ষার মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং সুবিধাবঞ্চিতদের সাহায্য প্রদানের লক্ষ্যে সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কারকে এশিয়ার নোবেল পুরস্কার বলা হয়ে থাকে। এ পুরস্কারটি সারা এশিয়া মহাদেশে সমাজের জন্য উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা হয়। এ পর্যন্ত ৩৪৪ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এ কাতারে এবার যুক্ত হলেন বাংলাদেশের রাকসান্দ।
ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রামোন ম্যাগসেসের স্মরণে ১৯৫৭ সালে রকেফেলার ব্রাদার্স ফান্ড প্রবর্তন করে রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার। নিষ্ঠা, সাহস ও আত্মত্যাগের সঙ্গে কাজ করার মধ্য দিয়ে যারা এশিয়াতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই পুরস্কার দেওয়া হয়।