আ. লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, সংসদ সদস্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

  © সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠানকে ঘিরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরে মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এড. মৃনালকান্তি দাসকে জেলায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। পৌর মেয়র ফয়সাল বিপ্লব, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল মৃধা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে শহরের হাটলক্ষ্মীগঞ্জ এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিকেলে জেলা শহরের মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্সের সামনে পৌরসভার ব্যানারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পৌর মেয়র মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব। অনুষ্ঠান স্থলে যোগ দিতে গজারিয়া উপজেলা থেকে নৌপথে আসেন নেতাকর্মীরা। এসময় শহরে হাটলক্ষ্মীগঞ্জ এলাকায় আগত নেতাকর্মীরা নামলে সেখানে উপস্থিত এমপি সমর্থিত লোকজন সহ পৌর-সেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি মনির হোসনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ায় গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুনসুর আহমেদ খাঁন জিন্নাহ।

পরে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুইপক্ষ। এতে মারধর করা হয় মনির হোসেনকে। এসময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এমপি ও মেয়র পক্ষের সোহাগ, সাব্বির, সালাউদ্দিন, জামালসহ অন্তত ৫ জন গুরুতর আহত হয়।

অন্যদিকে এ ঘটনায় আহত অবস্থায় আব্দুল মালেক (৫০), মো. জামাল (৩৫), সোহাগ (৩৮), রাসেল (২৬), সাদ্দাম (৩০) ও আফসার হোসেনকে (৫০) মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আহত মনির হোসেন (৪৮) কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়।

পরে কেক কেটে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন করেন তারা। এ সময় মেয়র ফয়সাল বিপ্লব, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধা স্থানীয় এমপি মৃনাল কান্তি দাসের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে জেলায় তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করার অভিযোগ তোলেন।

আরও পড়ুন: রড চুরির দায়ে পবিপ্রবি ছাত্রলীগ সভাপতিকে সাময়িক অব্যাহতি

মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, শহরে তাদের অনুষ্ঠান থাকায় আমি গজারিয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি অনুষ্ঠানে ছিলাম সারাদিন। সেখানেই সংঘর্ষের ঘটনা শুনেছি। মনির হোসেন একা ছিল তাকে ধরে মারধর করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে এটি শুনেছি। তবে দুঃখজনক এ বিষয়টি নিয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় বকাবকি করেছে যেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের লাইভে সারাদেশের মানুষ দেখেছে। আমাকে অবাঞ্ছিত করার তারা কে?

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় কোনও পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত  কোনও ধরনের অভিযোগ করা হয়নি। সংঘর্ষের সময় আমরা দুই গ্রুপকে সরিয়ে দিয়েছি। পরবর্তী সংঘাত কিংবা সহিংসতার মত ঘটনা এড়াতে হাটলক্ষ্মীগঞ্জ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কি কারণে দুই গ্রুপের মধ্যে এমন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ