চাকরি আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা করার দাবি
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৩, ০১:০৭ PM , আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২৩, ০১:৪০ PM
সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়স বৃদ্ধি ও আবেদন ফি কমানোর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন রাজশাহী জেলা ৩৫ বাস্তবায়ন কমিটি। তারা বলেন, চাকরির আবেদন ফি সর্ব্বোচ ২০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে। মানববন্ধনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮ (৩৩) বাস্তবায়নসহ অবসরে বয়সসীমা বৃদ্ধিরও দাবি জানানো হয়।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির সময় প্রায় সকল প্রকার চাকুরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি/পরীক্ষা বন্ধ ছিল। পৃথিবীর অনেক দেশ চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর বা তার বেশি ছিল। তারপরেও করোনা মহামারির কারণে চাকুরিতে আবেদনের বয়সসীমা আরও ২-৩ বছর পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে ৭১ বার বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবিটি উত্থাপিত হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় লিখিতভাবে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার জন্য সুপারিশ করলে তা এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি। অনতিবিলম্বে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বৃদ্ধি করে ৩৫ বছর এবং অবসরে বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হোক।
আবেদনের ফি কমানোর দাবিতে বক্তারা বলেন, চাকরির আবেদন ফি সর্ব্বোচ ২০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে (১ম শ্রেণিতে২০০ টাকা, ২য় শ্রেণিতে ১৫০ টাকা, ৩য় শ্রেণিতে ১০০ টাকা, ৪র্থ শ্রেণিতে ৫০ টাকা) প্রয়োজনে সরকারকে ভর্তুকির উদ্যোগ নিতে হবে। এছাড়াও একই তারিখে একই সময়ে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া যাবে।
সংগঠনটির রাজশাহী জেলার আহ্বায়ক ইনজামা-উল-হক বলেন, ৩৫ আন্দোলন গত দশ-বার বছর ধরে হয়ে আসলেও এখনো তার সুফল আমরা পাইনি। এছাড়াও কিছুদিন আগেও পরীক্ষার আবেদন ফি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮ (৩৫) বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ থাকলেও সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। ২০১৯ সালে বলা হয়েছিল বয়স বৃদ্ধি করা হবে তখন তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। আমাদের বার বার আশা দেওয়ার পরেও কেন বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আমরা দ্রুত চাকরির বয়স বৃদ্ধি ও ফি কমানোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হারুন বলেন, আমাদের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করতেই ২৬/২৭ বছর লেগে যায়। সেখানে চাকরি প্রস্তুতি নিতেই আমাদের তিন বছর পার হয়ে যায়। এছাড়াও কোভিডের কারণে দীর্ঘ দিন পরীক্ষা বন্ধ ছিল। আমাদের জন্য সেটা অনেক বেশি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বয়স পেরিয়ে যাওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী এখন হতাশাগ্রস্ত। তাই আমরা চাই অতিদ্রুত বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হোক।
মানববন্ধনে সঞ্চালনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিব মো. সাদ হোসেন। এসময় প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, সরকারি চাকরির আবেদন মাশুলের সঙ্গে ভ্যাটের হার বসিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। নবম গ্রেডে আবেদন ফি হবে ৬০০ টাকা। সঙ্গে টেলিটক বাংলাদেশের সার্ভিস চার্জ ১০ শতাংশ বা ৬০ টাকা; এই ৬০ টাকার ওপর ১৫ শতাংশ বা ৯ টাকা ভ্যাট। অর্থাৎ নবম গ্রেডে আবেদন করতে ৬৬৯ টাকা লাগবে।
দশম গ্রেডে আবেদন ফি ৫০০ টাকা। সঙ্গে ৫০ টাকা সার্ভিস চার্জ এবং ৭ টাকা ৫০ পয়সা ভ্যাট যুক্ত হবে। এ গ্রেডে আবেদন করতে লাগবে ৫৫৭ টাকা ৫০ পয়সা। এভাবে ১১তম ও ১২তম গ্রেডে ৩৩৪ টাকা ৫০ পয়সা, ১৩তম থেকে ১৬তম গ্রেডে ২২৩ টাকা ও ১৭তম থেকে ২০তম গ্রেডে ১১১ টাকা ৫০ পয়সা ভ্যাট দিতে হবে।