সাক্ষরতা প্রয়োগ করতে পারেন দেশের ৬২.৯২ শতাংশ মানুষ

আয়োজিত অনুষ্ঠান
আয়োজিত অনুষ্ঠান   © সংগৃহীত

দেশে প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার ৬২ দশমিক ৯২ শতাংশ। ৭ বছর বা তদূর্ধ্ব বাংলাদেশি নাগরিকদের এ হার হিসেব করা হয়েছে। যিনি পড়তে, অনুধাবন করতে, মৌখিক ও লিখিতভাবে বিভিন্ন বিষয় ব্যাখ্যা করতে, যোগাযোগ স্থাপন করতে এবং গণনা করতে পারেন তাকেই প্রায়োগিক সাক্ষরতার আওতায় হিসেব করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সেখানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এই জরিপ প্রকল্পের পরিচালক মোস্তফা আশরাফুজ্জামান।
 

জরিপে বলা হয়, দেশের ৭ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। তাছাড়া ১৫ বছরের বেশি নাগরিকদের এ হার ৬০ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

আরও পড়ুন: নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা হিরো আলমের

দেখা যায় গ্রামের তুলনায় শহরে প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার বেশি। এ হারে পুরুষের তুলনায় এগিয়ে নারীরা।

প্রায়োগিক সাক্ষরতার ২০২৩ সালের জরিপে প্রথমবারের মতো ৭ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সীদের জরিপ করা হয়েছে। এর আগে ২০১১ সালের একই জরিপে শুধুমাত্র ১১ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের হিসাব করা হতো।

২০১১ সালের জরিপের সঙ্গে তুলনা করলে এ হিসাব ভিন্নভাবে। ২০১১ সালে প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার ছিল ৫৩ দশমিক ৭ শতাংশ। সে হিসেবে এবার অর্থাৎ ২০২৩ সালে প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার (১১-৪৫) ৭৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

নতুন জরিপ অনুযায়ী, ৭ বছর বা তদূর্ধ্ব উন্নত পর্যায়ের সাক্ষরজ্ঞান আছে ৪৩ দশমিক ৬২ শতাংশ নাগরিকের। প্রাথমিক পর্যায়ের ১৯ দশমিক ৩০ শতাংশ, আংশিক ১১ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ নাগরিকের সাক্ষরজ্ঞান আছে।


সর্বশেষ সংবাদ