পনের দিনও টিকেনি আলোচিত সেই দাদি-নাতির সংসার

  © ফাইল ছবি

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের আলোচিত সেই দাদি-নাতির ভেঙেছে। সপ্তাহ না যেতেই তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ২১ মে ৪০ বছর বয়সী এক দাদির সঙ্গে ২৩ বছরের নাতির বিয়ে হয়। ভোলার একটি আদালতে ৭ লাখ টাকা দেনমহরে কোর্ট ম্যারেজের মাধ্যমে ওই বিবাহ করে সংসার শুরু করেন নাতি ও দাদি। 

এদিকে ইসলামী শরীয়ায় নিষিদ্ধ বিবাহ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর গতকাল মঙ্গলবার (৬ জুন) হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম হাওলাদার, স্থানীয় আলেম ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এবং দাদি-নাতির অবিভাবকের উপস্থিতে বিবাহ বিচ্ছেদ করা হয়। পরে দাদিকে ওই এলাকার ইউপি সদস্য জালাল আহমেদ ও নাতিকে তার বাবার কাছে তুলে দেন।

হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম হাওলাদার বলেন, তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের পাশাপাশি আলদা থাকতে বলেছি। দাদি অন্য কাউকে বিবাহ করতে চাইলে আমরা তাকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছি।

প্রসঙ্গত, ২১ মে দাদি-নাতির বিয়ে নিয়ে এলাকায় সমালোচনার হয়। এলাকাবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেন। শশিভূষণ থানা অফিসার ইনচার্জ ও হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম হাওলাদার পরিষদে ডেকে আনেন। তবে কোর্ট ম্যারেজের কাগজ দেখে তাদের আবার বাড়িতে একসঙ্গে বসবাস করতে পাঠিয়ে দেন।


সর্বশেষ সংবাদ