বাজেট নিয়ে অনলাইনে দেওয়া যাবে মতামত, পাওয়া যাবে সব তথ্য
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৩, ০২:২৬ PM , আপডেট: ০১ জুন ২০২৩, ০২:২৬ PM
স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে ৫২তম বাজেট জাতীয় সংসদে উত্থাপন হবে আজ। একক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকারই টানা ১৫টি বাজেট ঘোষণা হবে এটি। বাজেটকে অধিকতর অংশগ্রহণমূলক করতে এর সব তথ্যাদি ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল পাঠ ও ডাউনলোড করতে পারবেন নাগরিকরা। এ ছাড়া যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বাজেটের বিষয়ে নিজেদের মতামত দিতে পারবেন। অনলাইনে এ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি তার পঞ্চম বাজেট ঘোষণা হবে। বাজেটের আকার হবে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।
অর্থ মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাজেটকে অধিকতর অংশগ্রহণমূলক করতে অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইট www.mof.gov.bd -এ বাজেটের সব তথ্যাদি ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাঠ ও ডাউনলোড করতে পারবে এবং দেশ বা বিদেশ থেকে এ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফিডব্যাক ফরম পূরণ করে বাজেট সম্পর্কে মতামত ও সুপারিশ দিতে পারবেন। প্রাপ্ত সব মতামত ও সুপারিশ বিবেচনা করা হবে। জাতীয় সংসদ কর্তৃক বাজেট অনুমোদনের সময়ে ও পরে তা কার্যকর করা হবে।
ব্যাপকভিত্তিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিম্নলিখিত সরকারি ওয়েবসাইট লিংক এর ঠিকানাগুলোতেও বাজেট সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে।
* www.pressinform.portal.gov.bd
এবারের বাজেটের মূল দর্শন হলো, ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ। গত দেড় দশকে বর্তমান সরকারের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের অর্জন একটি টেকসই গ্রাউন্ডওয়ার্ক বা ভিত্তিপ্রস্তর তৈরি করে দিয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ চারটি মূল স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত হবে।
স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি এবং স্মার্ট ইকোনমি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটটি হবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে প্রথম বাজেট। এবারের বাজেটে সঙ্গত কারণেই স্বাস্থ্য, কৃষি, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনাকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা আজ
অর্থবছরের পুরো সময় জুড়েই থাকবে সরকারের নানা ধরনের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, বাড়ানো হয়েছে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা। আগামীকাল শুক্রবার (২ জুন) দুপুর তিনটায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, এবারের বাজেটের মূল দর্শন ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ। দেড় দশকে বর্তমান সরকারের অধীনে দেশের অর্জন টেকসই ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ চারটি মূল স্তম্ভে প্রতিষ্ঠিত হবে। তা হলো- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট ইকোনমি। এ বাজেটটি হবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে প্রথম বাজেট। এতে স্বাস্থ্য, কৃষি, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এবারের বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম ‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে।’ নানা ধরনের সংকটের মধ্যেও এতে স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১-এর স্বপ্ন দেখাবেন অর্থমন্ত্রী।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধির গতি বজায় রাখার লক্ষ্যে বাজেটের আকার হবে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। যা হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার অর্জনের লক্ষ্য রয়েছে, যেখানে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি থাকবে। মোট বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা হবে জিডিপির ৩৩ দশমিক ৮ শতাংশ।