সাড়ে ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা আজ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৩, ০৮:১৪ AM , আপডেট: ০১ জুন ২০২৩, ০৮:১৪ AM
স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে ৫২তম বাজেট জাতীয় সংসদে উত্থাপন হবে আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন)। একক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকারই টানা ১৫টি বাজেট ঘোষণা হবে এটি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি তার পঞ্চম বাজেট ঘোষণা হবে। বাজেটের আকার হবে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।
বুধবার (৩১ মে ) বিকেলে জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশন শুরু হয়েছে। এ অধিবেশনেই আজ বিকেল ৩টায় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের শেষ বাজেট। সে কারণেও আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে এবারের বাজেট ঘোষণা।
জানা গেছে, দেশের অর্থনীতি চাপের মধ্যে রয়েছে। জিনিসপত্রের দাম চড়া। রপ্তানি খাত রয়েছে সংকটে। প্রবাসী আয়ে গতি কমেছে। ডলার সংকটের মধ্যে টাকার দর কমছে। গত এক বছরে রিজার্ভে পতন হয়েছে। রাজস্ব আয়ও কম। সামনে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক সরকারের ভাবনা থাকে। বাজেটের দিকে সজাগ দৃষ্টি রয়েছে আইএমএফের।
আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্ত পূরণে সংস্কার পদক্ষেপ নিতে হবে বাজেটে। এসব পদক্ষেপ জনপ্রিয় নাও হতে পারে। এ পরস্থিতির মধ্যেই আওয়ামী লীগের তৃতীয় মেয়াদের শেষ বাজেট ঘোষণা হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের আগের দুই মেয়াদের ১০টি বাজেট ঘোষণা দেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, এবারের বাজেটের মূল দর্শন ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ। দেড় দশকে বর্তমান সরকারের অধীনে দেশের অর্জন টেকসই ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ চারটি মূল স্তম্ভে প্রতিষ্ঠিত হবে। তা হলো- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট ইকোনমি। এ বাজেটটি হবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে প্রথম বাজেট। এতে স্বাস্থ্য, কৃষি, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এবারের বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম ‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে।’ নানা ধরনের সংকটের মধ্যেও এতে স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১-এর স্বপ্ন দেখাবেন অর্থমন্ত্রী।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধির গতি বজায় রাখার লক্ষ্যে বাজেটের আকার হবে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। যা হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার অর্জনের লক্ষ্য রয়েছে, যেখানে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি থাকবে। মোট বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা হবে জিডিপির ৩৩ দশমিক ৮ শতাংশ।